• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০১৯, ০৫:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৬, ২০১৯, ০৫:৪৯ পিএম

বাংলাদেশি হামজার ইংলিশ লীগে পদার্পণের গল্প

বাংলাদেশি হামজার ইংলিশ লীগে পদার্পণের গল্প
লেস্টার সিটির জার্সি গায়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত হামজা। ছবি : গেটি

দেশের ফুটবল নিয়ে হাহাকার বহুদিনের। আশি-নব্বইয়ের দশকের সেই স্বর্ণালী সময় পেরিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলে এখন চলছে ক্রান্তিকাল। বিশ্ব ফুটবলে প্রতিদ্বন্দীতার প্রশ্নতো নেই-ই, দেশের ফুটবলাররা লড়তে পারছেন না সাফ অঞ্চলের দলগুলোর সঙ্গেও। 

এত খারাপ সংবাদের মধ্যেও বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমিদের খানিকটা স্বস্তি দিতে পারে হামজা চৌধুরীর গল্প। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই হামজা মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ। ফুটবল পায়ে নিজের অসাধারণ কারুকাজ দেখিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই লীগের ক্লাব লেস্টার সিটিতে। 

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই ফুটবলার কিভাবে জায়গা করে নিয়েছেন ওই ক্লাবে? সেই গল্পই হামজা শুনিয়েছেন বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে। তার মা রাফিয়া আক্তার বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার সন্তান। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে এখানে আসতেন বলেও জানিয়েছেন এই ফুটবলার। 

সেই স্মৃতি মনে করে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে যা খুশি তা করতে পারতাম, রাত ১০টায় ছোট ছোট বাচ্চারা ঘুরে বেড়াতো, আমি বাংলা বলতে পারি, এটা জেনে মানুষ আসলেই বেশ অবাক হতো। আমার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে আমি অবগত, আমি আবার যেতে পারলে ভালো লাগতো, এটা আমাকে আরো বিনয়ী করে তোলে, আমি ইংল্যান্ডে থাকলে আমার মধ্যে কিছু ব্যাপার কাজ করতে পারে, কিন্তু পৃথিবীর নানা প্রান্ত যেভাবে সংযুক্ত হয় সেটা আসলেই বিনয়ী করে তোলে।’

মা রাফিয়ার সঙ্গে হামজা 

মা রাফিয়া, সৎবাবা মুরশিদ ও চাচা ফারুককে এই সফলতার কৃতিত্ব দেন হামজা। তবে বিশেষ করে বলেন তার মায়ের কথা। হামজা বলেন, ‘আমি চুল কাটতে খুব অপছন্দ করতাম, আমার মা আমাকে জোর করে নিয়ে যেতেন, আমি ছোট ছিলাম, এখন আমি চুল বড় হতে দেই। আমার মা নতুন ও ভিন্ন মতামতের প্রতি উদার, সেদিন আমি প্রথম খেলতে যাই এবং মা সিদ্ধান্ত নেন খেলা চালিয়ে যাবো আমি।’

ইংল্যান্ডে থাকলেও এখনো ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন হামজা। তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার ছোটবোন মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার কোরান শরীফ পড়া শিখতাম। আমি ড্রেসিং রুম থেকে বের হবার সময় আয়াত-উল-কুরসি পড়ি, আমি আরো ছোট ছোট দোয়া পড়ি যেগুলো আমার মা আমাকে শিখিয়েছেন।’

এমএইচবি

আরও পড়ুন