• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ১১:১৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ১২:০৩ পিএম

ক্রিকেটারদের ধর্মঘট

অবিশ্বাস-অনিশ্চয়তা রুদ্ধশ্বাসের ৫৬ ঘণ্টা

অবিশ্বাস-অনিশ্চয়তা রুদ্ধশ্বাসের ৫৬ ঘণ্টা
যৌথ সংবাদ সম্মেলনেই আসে সমাধানের ঘোষণা। ছবি : বিবিসি
এই ৫৬ ঘণ্টার নাটকীয়তা থেকে কতটুকু উপকৃত হলো ক্রিকেট, সে প্রশ্ন তোলা থাকলো সময়ের হাতে।

আশা-নিরাশার দোলাচল। অবিশ্বাস আর অনিশ্চয়তা যেখানে ঘিরে থাকে চারপাশ। হবে হবে করে আশার আলো দেখা যায় খানিক, এরপর আবার তা হয়ে যায় অন্ধকার। এভাবেই চলে, কখনো ক্রিকেটার আবার কখনো বোর্ড কর্মকর্তারা হয়ে ওঠেন কঠোর। তাতে আরও ঘনিভূত হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটাকাশে জমে থাকা মেঘ। 

রুদ্ধশ্বাস ৫৬ ঘণ্টা। হলিউডের কোন থ্রিলার মুভির মতো যেন মঞ্চায়িত হলো সব। তবে দিনের হিসেবে তিন পাড় করে, খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস হয়তো এখন নিচ্ছেন ক্রিকেট প্রেমিরা। আইসিইউতে থাকা ক্রিকেটটা যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল বুধবার রাতে। ক্রিকেটার ও বোর্ড কর্মকর্তাদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। 

যেখান থেকে ঘোষণা এলো কেটে গেছে কালো মেঘ, শীঘ্রই মাঠে ফিরছেন ক্রিকেটাররা। সোমবার বিকালে ক্রিকেটারদের সংবাদ সম্মেলনে যে নাটকের শুরু, তা শেষ হলো সাকিব আল হাসানের 'এখনো পর্যন্ত যা আলোচনা হয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট' এর মাধ্যমে।

সোমবার ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয় ক্রিকেটাররা। 

পথটা কি এতটাই সহজ ছিল? না, একদমই না। সোমবার ক্রিকেটারদের সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে বসেছিলেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এরপর করেছিলেন সংবাদ সম্মেলনও। সেখান থেকে সমাধান তো মেলেইনি, বরং ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সমস্যার প্রকাশ্য উপস্থাপন ও তার কথার বলার ভঙ্গিতে আরও জটিল হয়েছে সমাধানের পথ।

এরপর বুধবার সারাদিন নাটকীয়তার তো শেষই নেই। সকালে বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানালেন, তাদরে কথা হয়েছে তামিমের সঙ্গে খেলোয়াড়রা আসবেন বিকালে। তা আর হলো না, বিকালে বিসিবি সভাপতি গেলেন গণভবনে। সেখানে থেকে ফেরার পথে ঘোষণা দিলেন, সব দাবি মেনে নেয়া হবে।

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। 

তার এই কথায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে খেলোয়াড়রা গেলেন গুলশানে। এক হোটেলে বৈঠকের পর করলেন সংবাদ সম্মেলন, যেখানে তাদের মূখপাত্র হিসেবে কথা বললেন ব্যরিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তাতেও অবসান ঘটে না নাটকীয়তার, ক্রিকেটাররা ফের বসেন আলোচনার টেবিলে। জানা গেছে, সবার ফোন নাকি সাইলেন্ট করে এক জায়গায় রেখেই দ্বিতীয়বার বৈঠক শেষ করেছেন তারা। 

এরপর সিদ্ধান্ত হয় ক্রিকেটাররা যাচ্ছেন মিরপুর, কথা বলবেন বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সেখানে আলোচনা শেষে সারা হয় নৈশভোজের পর্ব। তারপরই যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে আসে প্রায় ৫৬ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তার অবসানের ঘোষণা। 

এই ৫৬ ঘণ্টার নাটকীয়তা থেকে কতটুকু উপকৃত হলো ক্রিকেট, সে প্রশ্ন তোলা থাকলো সময়ের হাতে। নিশ্চিতভাবেই, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই তিন দিন, তবে সেটা কিভাবে থাকবে সেটার জবাবও তো সময়ই সবচেয়ে ভালো দিতে পারবে। 

আরও পড়ুন