• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৩:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৩:২১ পিএম

ইংল্যান্ডের রানের এভারেস্টে চাপা পড়লো নিউজিল্যান্ড

ইংল্যান্ডের রানের এভারেস্টে চাপা পড়লো নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ড বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতায় ফিরলো ইংল্যান্ড।

আগের ম্যাচেই নিশ্চিত জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ইংল্যান্ড সেদিন নিজেদের ‘চোকার’ প্রমাণ করে হেরে বসেছিল। আর সেই হারের পরই কি না তারা সিংহের হুংকার দিয়ে কিউই পাখিদের শিকার বানিয়ে রীতিমতো ছিড়েই খেয়ে ফেললো! 

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ইংলিশরা। ফলে সিরিজে ২-২ ব্যবধানে সমতা এনে শেষ ম্যাচটিকে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ বানিয়ে ছাড়লো ইয়ন মরগানের দল।

টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন ব্ল্যাক ক্যাপসদের অধিনায়ক টিম সাউদি। ম্যাচ শেষে তিনি হয়তো নিজের নেয়া সিদ্ধান্তের জন্য মাথার চুলই ছিড়তে চেয়েছিলেন। কারণ আগে ব্যাট করা ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা যে তার দলের বোলারদের সর্বস্বান্ত করে দিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করেছেন ২৪১ রানের এভারেস্ট সমান রান, তাও আবার মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে! 

সফরকারীদের শুরুটা দেখে অবশ্য মনেই হয়নি যে তারা স্বাগতিক বোলারদের উপর দিয়ে রীতিমতো টর্নেডোর আঘাত হানতে চলেছে। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে যখন জনি ব্যারিস্টো যখন মিশেল স্যান্টনারের বলে আউট হয়ে ফিরছিলেন, তখন ইংল্যান্ডের স্কোর ১৬ রান। ২০ বলে ৩১ রান করা  আরেক ওপেনার টম ব্যান্টনকে বোল্ড করে স্যান্টনার তার দ্বিতীয় উইকেট নেয়ার সময় ইংলিশদের স্কোর ৭.২ ওভারে ২ উইকেটে ৫৮ রান।

এরপর তৃতীয় উইকেটে ডাভিড মালান এবং ইয়ন মরগান যে ঝড় ২২ গজে তুলেছিলেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের তো বটেই; নেপিয়ারের দর্শকদের তা চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তবে আধুনিক ক্রিকেটে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং দেখার বিনোদন ক্রিকেট ভক্তরা ঠিকই পেয়েছেন। মালান ও ইয়ন মরগান মাত্র ৭৬ বলে ১৮২ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়ে কিউই বোলারদের নাকের জল চোখের জল এক করে ছেড়েছিলেন।

৫১ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কার মারে নিজের সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে মালান ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দিনটি একেবারে নিজের করে নেন। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া মরগান অবশ্য ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ৪১ বলে ৭ চার ও ৭ ছক্কার মারে ২২১.৯৫ স্ট্রাইক রেটে শেষ ওভারে সাউদির বলে আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৯১ রান। 

নিউজিল্যান্ডের বোলারদের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের আঁচ তেমন টের পাননি মিশেল স্যান্টনার। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। টিম সাউদি একটি উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ৪৭।

ইংল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া এভারেস্ট সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাল্টা জবাবই দিতে শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। মার্টিন গাপটিল এবং কলিন মুনরো উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৪.৩ ওভারেই ৫৪ রান যোগ করে ইংলিশদের হৃদয়ে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল। গাপটিল ১৪ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলার পর টম কুরানের বলে ডাভিড মালানের হাতে ধরা পড়লে এই জুটি ভাঙে। এরপর অবশ্য নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড এবং একপর্যায়ে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৮৯; অর্থাৎ ৩৫ রানের মধ্যেই তাদের ৬ উইকেট উধাও!

টিম সাউদি ১৫ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কার মারে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে শেষ চেষ্টা করলেও টেল এল্ডাররা সুবিধা করতে না পারায় ১৯ বল হাতে থাকতেই ১৬৫ রানে থামে কিউইদের ইনিংস। 

ম্যাট পারকিনসন ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচ করলেও ৪ উইকেট ঠিকই নিজের পকেটে পুরে নিয়েছেন। ক্রিস জর্ডান নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান স্যাম কুরান, টম কুরান ও প্যাট ব্রাউন।

আরআইএস  
 

আরও পড়ুন