• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৫:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৫:৫৭ পিএম

পাকিস্তানকে কচুকাটা করে ৯ বছরের খরা ঘুচালো অস্ট্রেলিয়া

পাকিস্তানকে কচুকাটা করে ৯ বছরের খরা ঘুচালো অস্ট্রেলিয়া
পাকিস্তানি বোলারদের নাজেহাল করে ছেড়ে দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং অ্যারন ফিঞ্চ। ফটো : টুইটার

সিডনিতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ জয়ের পথেই এগিয়ে চলেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি তাদের সেই জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। আর আজ তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে নয় বছর পর তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিলো অজিরা।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) পার্থে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। তাদের স্কোরবোর্ডের দিকে তাকালেই মনে হবে যে সেটি অনেকটাই টেলিফোন ডিজিটের সঙ্গে মিলে যায়!  

অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের তোপের সামনে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা যেন রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেই বসেছিলেন। হেড কোচ মিজবাহ উল হকের জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কোচ হওয়ার ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব ড্রেসিংরুমে পড়েছে কি না, সেই সন্দেহ অনেকের মনেই উঁকি দিয়ে চলেছে।

পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইফতিখার আলম ৩৭ বলে ৪৫ রানের ইনিংস না খেললে যে পাকিস্তানের সামনে কতটা লজ্জা অপেক্ষা করছিল, সেটা জানার জন্য এটাই যথেষ্ট যে ২০ ওভারে তাদের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ৮ উইকেটে মাত্র ১০৪ রান। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমাম উল হক ১৪ রান করলেও বাকিরা দুই অংকের ঘরেই যেতে পারেননি।

ক্যাঙ্গারু বোলারদের দাপটের দিনে সবচেয়ে সফল ছিলেন কেন রিচার্ডসন। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট। শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে যেই পেসারের বাউন্সারের আঘাতে দুর্ঘটনাক্রমে অজি ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজ মারা গিয়েছিলেন, সেই সিন অ্যাবট ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। মিশেল স্টার্কেরও শিকার ২ উইকেট, একটি উইকেট লাভ করেন অ্যাশটন অ্যাগার।

মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ পাকিস্তানি বোলারদের নাজেহাল করে তাদের কচুকাটা করতে থাকেন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কখনো কখনো তারা দেখেশুনে খেলে উইকেট অক্ষত রাখার চেষ্টাতেও শতভাগ সফল; ফলাফল ১০ উইকেটের বিশাল জয়।

অ্যারন ফিঞ্চ ৩৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কার মারে নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে ৫২ এবং ডেভিড ওয়ার্নার ৩৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার মারে ৪৮ রান করে অপরাজিত থেকে ৮.১ ওভার বাকি থাকতেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।

ফিলিপ হিউজের মৃত্যুর দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়ানো সিন অ্যাবট অতি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ৮০ রানের ইনিংসের জন্য সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন সাড়ে ৩ বছর পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফেরা স্টিভেন স্মিথ। 

আরআইএস 
  

আরও পড়ুন