• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৪:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৪:৫৭ পিএম

কেবল শিরোপা লড়াইয়ে হারলো বাংলাদেশ 

কেবল শিরোপা লড়াইয়ে হারলো বাংলাদেশ 
এবারো ফাইনালের বাঁধা টপকাতে পারলো না বাংলাদেশ। ফটো : এসিসি

দিন বদলায়, সূর্য পশ্চিমে উঠে পূর্বে অস্ত যায় রোজ। সময় গড়িয়ে বদলায় দিন, মাস, বছর। বদলে যান ক্রিকেটাররাও। সাকিব-তামিমদের স্থলে ফাইনাল খেলেন শান্ত-আফিফরা। বদলায় না কেবল বাংলাদেশের ফাইনাল ভাগ্য। হতাশায় ডুবায় বারবার, বাড়ায় হা-হুতাশ, পোড়ায় যন্ত্রণায়। সেটা হোক ২০১২ কিংবা ২০১৮ আর ২০১৯ সাল। 

পুরো আসরে দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়ে এসে ফাইনালে আরও একবার ভরাডুবি হলো বাংলাদেশের। মিরপুরে উপস্থিত হওয়া হাজার চারেক দর্শক ফেরেন শিরোপা উদযাপন করতে না পারার শোকে কাতর হয়ে। কলকাতার ইডেন গার্ডেনের বলের রং গোলাপি, সেটা বদলে এখন বাংলাদেশ দলে ধারণ করেছে বেদনার রং নীলে। সে আঁচ প্রায় পুরোটাই এসে যেন লাগলো মিরপুরেও। 

ইমার্জিং এশিয়া কাপে পুরো আসরজুড়েই অপরাজিত থাকা দুই দল খেলতে নেমেছিল ফাইনালে। টস ভাগ্যটা সহায় হয়েছিল বাংলাদেশরই। যেখানে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সেই সিদ্ধান্ত কাঠগড়ায় উঠেছিল প্রথম ইনিংসের পরই। 

ইয়াসির আলী রাব্বির ক্যাচ মিসের সুবাদে ২৪ রানে জীবন পেয়ে রুহাইল নাজির ১২ চার আর ৩ ছক্কায় ১১১ বলে করেছিলেন ১১৩ রান। ইমরান রফিক ৬২ ও অধিনায়ক সৌদ শাকিল করেছিলেন ৪২ রান। সেসব ছাপিয়ে প্রথম ইনিংসের হাইলাইটসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে ইয়াসির রাব্বির একাই তিন ক্যাচ মিস। যার প্রথম জন তো সেঞ্চুরি করেছেনই, পরের দুইটি যেই পাঁচ ওভারে ফেলেছেন সেখান থেকে পাকিস্তান তুলেছে ৫৬ রান। পাকিস্তানও তাতে পেয়েছে ৬ উইকেটে ৩০১ রানের বড় সংগ্রহ। বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার সুমন খান পেয়েছেন তিন উইকেট। 

৩০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমেই শুরুতেই হতাশ করেছেন পুরো আসরেরই সবচেয়ে অভিজ্ঞ তারকা সৌম্য সরকার। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৬ বলে ১৫ রান করে দারুণ খেলতে থাকা এই ওপেনার ফিরেছেন সামিন ‍গুলের বলে। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাঈম শেখও বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি, তার সংগ্রহ ১৬ রান। 

কিছুটা প্রতিরোধ গড়ছিলেন অধিনায়ক শান্ত কিন্ত ৪৬ রানে তার ও দলীয় ৯২ রানে ইয়াসিরের উইকেট হারালে ক্ষীণ হয় শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। অঙ্কন ও জাকির হাসানকে নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে তা জাগিয়ে রাখছিলেন যে আফিফ, তিনিও ফেরেন সামান গুলের দুর্দান্ত ক্যাচে। আর তাতেই মূলত যবনিকাপাত ঘটে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ জয়ের স্বপ্নের। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থামে ২২৪ রানে, হেরে যায় ৭৭ রানে।  

এমএইচবি/আরআইএস 
 

আরও পড়ুন