• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০১৯, ০৪:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১, ২০১৯, ০৪:৪২ পিএম

আনুষ্কাকে নিয়ে মিথ্যা মন্তব্যে ক্ষেপেছেন কোহলি

আনুষ্কাকে নিয়ে মিথ্যা মন্তব্যে ক্ষেপেছেন কোহলি
বিরাট কোহলি ও তার স্ত্রী আনুষ্কা শর্মা। ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি নানা সময়েই তার সফলতার পেছনে কৃতিত্ব দেন স্ত্রী আনুষ্কা শর্মাকে। নানা সময়ে কোহলির সঙ্গে স্টেডিয়ামেও দেখা যায় তার স্ত্রীকে। আনুষ্কার প্রতি বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানের ভালোবাসাটাও কারো অজানা নয়।  

সেই স্ত্রীকে নিয়ে যদি করা হয় মিথ্যা মন্তব্য, তাহলে তাতে রেগে যাওয়ারই কথা কোহলির। গত বিশ্বকাপ শেষে সেরকমই একটি মন্তব্য করেছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক ইঞ্জিয়ার। ম্যাচের সময় ভারতীয় নির্বাচকরা আনুষ্কাকে চা এগিয়ে দিতেই ব্যস্ত ছিলেন বলেই মন্তব্য করেন তিনি। 

তখন ফারুক বলেছিলেন, ‘আমাদের তো মিকি মাউজ সিলেকশন কমিটি। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিরাট কোহলির প্রভাব বিশাল। বিশ্বকাপ চলাকালীন নির্বাচকদের দেখেছি ভারতের ব্লেজার পরে ঘোরাঘুরি করছে। আনুশকা শর্মাকে চা এগিয়ে দিতেই ওরা ব্যস্ত ছিল। ওদের কাউকেই আমি চিনতাম না। পরে জানতে পারি ওরা নির্বাচক।’

এই বিষয়ে কোহলি তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য না করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনুষ্কা বলেন,‘আমাকে নির্বাচকরা চা এগিয়ে দিতে ব্যস্ত ছিলেন, এই তথ্য একদমই মিথ্যে। আমি বিশ্বকাপের একটা ম্যাচই দেখতে গিয়েছিলাম। তাও আবার ফ্যামিলি বক্সে বসেছিলাম। নির্বাচকদের বক্সে বসিনি।’

ওই সময়ে এই ব্যাপারে মন্তব্য না করলেও সম্প্রতি আবার ইন্ডিয়া টুডে’কে এক সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় উঠে এসেছে তখনের ঘটনাটি। সে ঘটনা মনে করে আনুশকার মতো করেই কোহলি বলেন, ‘বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখার জন্য আনুশকা এসেছিল। ওই একটা ম্যাচের জন্যই ও এসেছিল মাঠে, তাও ফ্যামিলি বক্সে বসে খেলা দেখেছিল। নির্বাচকদের বক্সে বসেনি ও। এমনকি সেই সময়ে কোনও নির্বাচক ছিলেনই না সেখানে।’

কোহলি আরও বলেন, ‘নির্বাচকদের ব্যাপারে যদি কিছু বলার থাকে, তা হলে যে কেউ তা বলতে পারেন। কিন্তু আনুশকার নাম জড়ানো হল কেন। একটা মিথ্যাকে যদি বারবার বলা হয়, তা হলে সেটাকে সত্যি বলেই ধরে নেয়া হয়। তাই একসময়ে মুখ খুলতেই হয়। একটা বিষয়কে আরও বেশি মশলাদার করার জন্য মানুষ কেন আনুশকার নাম নেয়, তা আমার জানা নেই। সহজ লক্ষ্য বলেই হয়তো সবাই আনুশকাকে জড়ায়।’

এমএইচবি

আরও পড়ুন