• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ১২:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ১২:৩৪ পিএম

সান্টোকির বিতর্কিত ‘ওয়াইড-নো’ নিয়ে কিছুই করার নেই!

সান্টোকির বিতর্কিত ‘ওয়াইড-নো’ নিয়ে কিছুই করার নেই!
সিলেট থান্ডার্সের ক্যারিবীয় পেসার ক্রিশমার সান্টোকির সেই বিতর্কিত ‘নো’ বল। ফটো : সংগৃহীত

বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে সিলেট থান্ডার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের ঘটনা। ক্যারিবীয় বাঁ হাতি পেসার ক্রিশমার স্যান্টোকি দৃষ্টিকটু দুটি ‘ওয়াইড’ ও ‘নো’ বল নিয়ে রীতিমতো বিতর্কের ঝড় ওঠে। 

২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের বিশাল একটি ‘নো’ বল ছিল স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে। সান্টোকির এই ‘নো’ বল আমিরের সেই ডেলিভারি থেকেও বড়। তার এমন বোলিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ ‘অন্য কিছুর’ গন্ধও পাচ্ছেন। ইংলিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের প্রধান ক্রীড়া লেখক বার্নি রনি তার টুইটারে ব্যঙ্গ করে দুটো বলকেই ‘দুর্ভাগ্যজনক ওয়াইড আর নো’ বলেছেন।

বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে প্রশ্ন করা হয়েছেল। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইসিসি আর দুর্নীতি দমন ইউনিটের তদন্তাধীন বলে বিসিবির কিছু করার নেই।

এদিকে বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, এটা নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি কিছু করবে না। এগুলো বেটিং বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পর্যায়ে পড়ে। স্কোয়াড বেটিং যেটাকে বলে। ক্রিকেট বোর্ডের নিযুক্ত একজন বিষয়টাকে সামনে এনেছেন। এত বড় একটা ‘নো’ বল। যেমনটা আমিরকে দেখেছিলাম ইংল্যান্ডের লর্ডসে। এটা আমাদের রেফারেন্সের মধ্যে আসে না। এটা নিয়ে আমি কমেন্ট করতে পারবো না। এটা যদি তারা হিয়ারিং (শুনানি) করে বা ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করে, সেখানে তাকে খোলাসা করতে হবে। ফুটেজ দেখতে হবে। আগেও ছিল কি না তার (ক্রিশমার স্যান্টোকি) ট্র্যাক রেকর্ডে। তার পরের ম্যাচটাও সে খেলেছে, একটা ওভার ভালো করেনি। এটি অ্যান্টি-করাপশনের আওতায়। আমি ম্যাচ রেফারি ছিলাম ওই ম্যাচে। আমার কাছে কোনো রিপোর্ট আসেনি ওই ব্যাপারে।

উল্লেখ্য, বিপিএলের সপ্তম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটের সময়ও অন্য রকম কিছু আঁচ করতে পেরে তানজিল আগাম সে কথা লিখিত আকারেও বিসিবিকে জানিয়ে রেখেছিলেন বলেও ওই জাতীয় দৈনিকে তানজিল চৌধুরীর বরাতে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের টেবিলে পরিচালক তানজিল চৌধুরী সিলেট থান্ডার্সের স্পন্সর জিভানি ফুটওয়্যারের কর্তাব্যক্তিদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, এত এত খেলোয়াড় থাকতে সান্টোকি কেন? তানজিল চৌধুরীর এমন প্রশ্নে তারা রীতিমতো অস্বস্তিতেই পড়েছিলেন।

আরআইএস  

আরও পড়ুন