• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯, ০৭:১১ পিএম

খালেদা জিয়ার মুক্তি হওয়া উচিত: ড. কামাল

খালেদা জিয়ার মুক্তি হওয়া উচিত: ড. কামাল
ড. কামাল হোসেন; ফাইল ফটো


বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি যুক্তিসংগত উল্লেখ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি হওয়া উচিত। 

শুক্রবার সু্প্রিম কোর্টে শফিউর রহমান মিলনায়তনে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কামাল হোসেন বলেন, আজকে গণশুনানিতে খালেদা জিয়ার মুক্তি একটা প্রধান দাবি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি যুক্তিসংগত। এটা নিয়ে এর আগেও জোরালো দাবি এসেছে। তাই অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি হওয়া উচিত। আজকের এই অনুষ্ঠান থেকেও এই দাবিটা করা উচিত। 

তিনি বলেন, এটা দুঃখজনক যে স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এই ধরনের দাবি আমাদের করতে হচ্ছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাচ্ছি। 

কামাল হোসেন আরও বলেন, আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ করেছি ৪০ বছর। আজকে যে আওয়ামী লীগ এটা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নয়। এক ব্যক্তির শাসন চলছে, যা ইচ্ছে তাই হচ্ছে। দলের দোষ দিচ্ছি না। তাই বলি, যারা এমনটা করছেন তারা মারা গেলে উত্তরসূরীরা লজ্জা বোধ করবে।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, এটাকে নির্বাচন বলা যায় না, নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা বুঝতে পেরেছি এটা কোনো নির্বাচন হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মালিকানা যেন ফিরিয়ে আনতে পারি সেটা করতে হবে। যেন স্বৈরাচারকে সরাতে পারি। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ড.কামাল হোসেন বলেন, কোনো দিন এদেশে স্বৈরাচার চিরস্থায়ী হতে পারেনি। আমরাও কোনোদিন স্বৈরাচারী সরকারের শাসন মেনে নেইনি। এই সরকার ও দীর্ঘদিন থাকতে পারবে না।

শুনানিতে সারা দেশ থেকে আসা ৪১জন প্রার্থী নির্বাচনের আগে ও পরের অবস্থা তুলে ধরেন। এছাড়া ২ জন ধানের শীষের এজেন্ট শুনানিতে বক্তব্য তুলে ধরেন। 

বিকাল ৪টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শুনানি প্রায় ৬টায় শেষ হয়। তবে সময়ের অভাবে শুনানিতে ফ্রন্টের অন্যতম নেতা আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ আরো অনেকেই বক্তব্য দিতে পারেননি।

শুনানির বিচারক হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, অ্যাড. ড. মহসিন রশীদ, সাবেক বিচারপতি আ ক ম আনিসুর রহমান খান, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী।

গণশুনানির শুরুতে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

গণ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদারসহ প্রার্থীরা।

টিএস/আরআই