স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, হাতিরঝিলকে উদ্ধার করে অবকাঠামো নির্মাণ করে সুন্দর রূপ দেয়া হয়েছে। এমনিভাবে রাজধানীর বাকি খাল ও লেকগুলো দখল, উচ্ছেদ এবং ভরাট হওয়া জায়গাগুলো খনন করার ব্যবস্থা করতে হবে। খালগুলো উদ্ধার করা গেলে হাতিরঝিলের মতো ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করা হবে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিকসহ নানা কারণে ঢাকা ওয়াসার খাল-লেক দখল ও ভরাট হয়। এসব উদ্ধারে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা চালু করা গেলে নাগরিকের সময় এবং অর্থ কম খরচ হবে। একইসঙ্গে সড়কে গাড়ির চাপ কমার সঙ্গে ট্র্যাফিকের ওপর চাপ কমবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, দুই দশক আগে রাজধানীতে এত মানুষ ছিল না। নদীগুলোতেও এত লঞ্চ স্টিমার ছিল না। ময়লা-আবর্জনাও এত বেশি ছিল না। শহরে মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্জ্যও বেড়েছে। দূষিত হয়েছে খাল ও নদী। আগে এগুলো নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি কারণ এত দূষণ ও দখল হয়নি। এখন মানুষ বেড়েছে, দূষণ ও দখল বেড়েছে। তাই এই বিষয়গুলি নিয়ে এখন পরিকল্পনা এবং কাজ করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে নদী, খাল ও লেকগুলো দূষণ ও দখলমুক্ত রাখতে হবে। সবমিলিয়ে আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এডিস মশা আমাদের নাড়া দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস থেকে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছি। সনাতন পদ্ধতি হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়েছে। এ কাজে শুধু আমরাই অনভিজ্ঞ তা নয়, আমেরিকা, সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর অনেক দেশই অনভিজ্ঞ। ওই দেশগুলোতেও হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারাও গেছে। যদি আমরা নাগরিকরা আগে থেকে সচেতন হতাম, তাহলে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি এরকম পর্যায়ে যেত না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, জলাবদ্ধতা রোধে পানি নিষ্কাশন নিয়ে ঢাকা ওয়াসা কাজ করছে। একইসঙ্গে স্যুয়ারেজ সিস্টেম নিয়েও কাজ করছে। পানির সমস্যা সমাধানে ঢাকা ওয়াসা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলছে।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসানসহ ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে ১০ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার দেয়া হয়। তারা হলেন- ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের  প্রধান নির্বাহী এস এম মাঈনুদ্দিন চৌধুরী, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এর নির্বাহী রেজাউল করিম, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এর নির্বাহী  হালিম চোধুরী, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক এর নির্বাহী কাজী উসমান আলী, ব্যাংক এশিয়ার নির্বাহী সাজ্জাদ হোসাইন, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এর ফখরুল আলম, এক্সিম ব্যাংক এর ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া, মার্কেন্টাইল ব্যাংক এর কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক এর নির্বাহী সাখাওয়াত জামিল।

টিএইচ/একেএস