• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯, ০৪:৩৫ পিএম

সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

 

১২ হাজার ৪৫৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩ টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। এতে সরকার অর্থায়ন করবে ৯ হাজার ৪৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ১৫৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য থাকবে ২ হাজার ৮২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের সদস্য ড. শামসুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে একাধিক প্রকল্প ওভারলেপিং না করতে উচ্চ ক্ষমতার একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের জনবলের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা পুনর্নির্ধারণ এবং প্রকল্পের সংযুক্ত জনবলের বিশেষ ভাতা প্রদানের বিষয়ে একটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হলেও সেজন্য আলাদা কোনো ব্যয় বাড়ছে না। এতে প্রকল্প ব্যয় ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকাই থাকছে। অর্থাৎ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যারা কাজ করেছেন তাদের বর্তমান বেতনের অর্ধেক ভাতা হিসাবে বাড়তি পাবে। তবে, বেতন বাড়লেও ভাতা না বাড়ার বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে যেসব সেতু বা অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে সেগুলো স্থানীয় কোনো মুক্তিযোদ্ধা বা পণ্ডিত ব্যক্তির নামে নামকরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তা না হলে নদীর নামে নামকরণ করতে হবে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে উপস্থাপন করা হয় এর অনুমোদন বাতিল করার জন্য। কেননা ২ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা খরচের এ প্রকল্পটি বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন প্রকল্প নেয়া হবে।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে, বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন স্থাপন প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৩২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এছাড়া বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর উপর পায়রা সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের (মহিপাল হতে চৌমুহনী পূর্ব বাজার পর্যন্ত) দুই লেনকে চার লেনে উন্নীতকরণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪৭ কোটি টাকা।

মোংলা বন্দরের জন্য অত্যাবশকীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংগ্রহে ব্যয় হবে ৪৩৫ কোটি টাকা। ঢাকা শহরে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কুড়িগ্রামের চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীরে ভাঙ্গনরোধ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০২ কোটি টাকা।

এছাড়া সোনাগাজী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কে ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গোপালগঞ্জ এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের তৃতীয় শাখা কারখানা স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এআই/সাইসে