• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯, ০৩:৫০ পিএম

ভাসানটেক বস্তিতে আগুন, নিঃস্ব হাজারো পরিবার

ভাসানটেক বস্তিতে আগুন, নিঃস্ব হাজারো পরিবার

 

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আগুনে পুড়ল রাজধানীর ভাসানটেক জাহাঙ্গীর বস্তির হাজারো ঘরবাড়ি।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে লাগা আগুনে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় নিঃস্ব হয়েছে হাজারো পরিবার। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২ শিশুর মরদেহ। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। কিন্তু বাঁচাতে পারেনি হাজারো মানুষের স্বপ্ন। বস্তিবাসীদের তিল তিল করে জমানো কষ্টের টাকা, ঘরের তৈজসপত্র, পরিধানের কাপড়সহ থাকার ঘরগুলো মুহূর্তের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অনিশ্চিত এক পরিস্থিতিতে পড়েছেন কয়েক হাজার বস্তিবাসী।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পুড়ে যাওয়া টিন, আসবাবপত্র। পড়ে আছে আংশিক পুড়ে যাওয়া শখের কোনো জিনিস। কোথাও বা শুধু পোড়া ভিটা। ঘরের আসবাবের মধ্যে লোহা ও স্টিলের আসবাবগুলো পড়ে আছে দুমড়ে-মুচড়ে। পুড়ে যাওয়া ঘর-বাড়ির টিনগুলো সরানো হচ্ছে, তবে সরছে না সাধারণ মানুষের আহজারি। খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টিতে বসে থাকা বস্তিবাসীর চোখে মুখে লেগে আছে হতাশা ও ক্লান্তি। জীবনযুদ্ধে সবকিছু হারিয়ে তারা আজ অসহায় ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

রাতের সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে বস্তিবাসীর ঠাঁই মিলেছে খোলা আকাশের নিচে। বস্তির ধ্বংসস্তুপ থেকে রক্ষা পাওয়া জিনিসপত্র খুঁজছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, গরিবের উপরই সবসময় গজব আসে কেন? কি দোষ ছিল আমাদের? শহরেতো আর থাকার মতো জায়গা নাই। এখন আমরা কোথায় যাব, কি করব, কিছু ভেবে পাচ্ছি না। তার মতো অনেকেই পোড়া ছাইয়ের মধ্যে বেঁচে থাকার কোনো রসদ আছে কি না তা খুঁজছেন ও বিলাপ করছেন। নির্বাচনের কারণে জনপ্রতিনিধি বা কারো পক্ষ থেকে তাদের ভাগ্যে জুটেনি কোনও সাহায্য ও সহায়তা।  

এইচএম/সাইসে