• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৬, ২০১৯, ০১:৪৫ এএম

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে দুই বাংলার বাঙালিদের মিলন মেলা -ছবি : জাগরণ

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল, হরিপুর উপজেলার মোলানী গ্রেরাডাঙ্গী, কাড়িগাঁও বিওপি, কান্ধাল, মলানী, ডাবরী, বেতনা ও বুজরুক সীমান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই বাংলার বাঙালিদের মিলন মেলা। সীমান্তের তাঁরকাটার এপারে-ওপারে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

হাজার হাজার মানুয়ের উপস্থিতিতে এ মেলা সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও দু’দেশে বসবাসরত স্বজনরা দীর্ঘদিন পর কাছে থেকে প্রিয়জনকে দেখতে পেয়েছেন। এ সময় অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

ভারতের মালদখন্ড, বসতপুর, শ্রীপুর, নারগঁও, কাতারগঞ্জ ও বোররা সীমান্তে ৩৫৫ নং, ৩৫৬নং পিলার থেকে শুরু করে ৩৭২নং পিলার এলাকায় সীমান্তের তারকাঁটার এপার-ওপারে দুই দেশের হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এ মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

তারকাঁটা গেইট না খুলে দেয়ায় স্বজনরা তারকাঁটার দিকে ছুটে যায়। এ সময় প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে তারা তারকাঁটার উপর দিয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে খাবারসহ অনান্য সামগ্রী বিনিময় করেন।

স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নাসিমা বেগম (৪০) জানান, তার মেয়ে গিতা রানীর সঙ্গে ১০ বছর পর দেখা হয়েছে। গিতা রানীর বিয়ে হয়েছে ভারতের মালদা জেলার রতুয়া থানার চাঁনমনি গ্রামে। বিয়ের পর এই প্রথম মেয়েকে দেখতে পেয়ে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে তার মেয়ে ও জামাইকে কাপড় ও মিষ্টি দিয়ে নববর্ষের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

 

স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসা জয়পুর হাটের পূর্ণিমা রাণী জানান, ৭ বছর আগে আমার ছোট বোন শ্রীমতি রাণীর বিয়ে হয় ভারতের গোয়ালপুকুর থানার পাঁচঘরিয়া গ্রামে।বিয়ের পর তার সঙ্গে আর কথা হয়নি। কিন্তু আজ বোনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারকাঁটার ফাঁক দিয়ে মিষ্টি ও শাড়ী দিতে পেরে অনেক আনন্দিত।

সকাল ১০টার পর স্বজনদের উপচে পড়া ভীড় সামলাতে হিমশিমে পড়েন বিজিবি ও বিএসএফ বাহিনী। দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের মৌখিক অনুমতির প্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফ’র কঠোর নিরাপত্তা ও উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ নজরদারীর মধ্য দিয়ে এই মিলনমেলা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। 


একেএস