• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৯, ০৪:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২২, ২০১৯, ০৫:০১ পিএম

সমুদ্রে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ ধরা ‍নিষিদ্ধ

পরিবারপ্রতি মাসিক ৪০ কেজি চাল সহায়তা

পরিবারপ্রতি মাসিক ৪০ কেজি চাল সহায়তা
মাছ ধরার নৌকা- ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিবছরের মতো এবারও ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত একটানা ৬৫ দিন পর্যন্ত সকল প্রকার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক মৎস্যযান কর্তৃক মৎস্য ও ক্রাস্টিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটলফিশ ইত্যাদি) আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ সময় সামদ্রিক মাছসমূহের প্রজনকাল হওয়ায় ডিমওয়ালা মাছের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিসহ মাছের মজুদ সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ও বিজ্ঞানসম্মত সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

উপকূলীয় ১২টি জেলাধীন ৪২ উপজেলার ৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৮৪ টি জেলে পরিবারের মাছ-আহরণ ব্যতিত বিকল্প আয়ের উৎস না থাকায় এবারই প্রথম নিষিদ্ধকালীন ৬৫ দিনের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় পরিবারপ্রতি মাসিক ৪০ কেজি করে মোট ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল সহায়তা দেয়া হবে। 

ঈদের আগেই এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। মাছের তিনটি নিষিদ্ধ সময়ের জন্য আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য তুলে ধরেন মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। 

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছ উল আলম মণ্ডল, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড ইয়াহিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ৮ মাস জাটকা নিধন রোধ এবং ২২ দিন মা-ইলিশ সংরক্ষণের মতো ৬৫ দিনের জন্যও ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার ফলে জেলে পরিবারের খাদ্যসংস্থান হওয়ায় তারা সামুদ্রিক ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ি আহরণ থেকে বিরত থাকবে এবং ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ির নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ২৫৫টি বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলার, ৩২ হাজার ৮৫৯টি যান্ত্রিক ও ৩৪ হাজার ৮১০টি অযান্ত্রিক ফিশিংবোট কর্তৃক মৎস্য আহরণের ফলে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এ জন্যই সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর অধীনে বিধি ১৯ দ্বারা ২০১৫ সাল হতে প্রতিবছর প্রধান-প্রজনন মৌসুমে মোট ৬৫ (পয়ষট্টি) দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় বাণিজ্যিক ট্রলারসহ সকলপ্রকার নৌযানদ্বারা মাছ, চিংড়ি ও চিংড়ি জাতীয় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ৩২ সহস্রাধিক যান্ত্রিক মৎস্যযান সমুদ্রে মাছধরায় জড়িত থাকলেও তাদের মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ৪০০টি মৎস্যযান বৈধ বা নিবন্ধিত থাকায় অবৈধ নৌযানের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে মোট ৪২.৭৭ লাখ মে. টন মাছ উৎপাদিত হওয়ার মাধ্যমেই দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই উৎপাদনের মধ্যে সামুদ্রিক মৎস্যখাতের অবদান ৬.৫৬ লাখ মে. টন। যা দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

টিএইচ/এসএমএম