সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহম্মদ এরশাদ এর তৃতীয় নামাজে জানাজা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বাদ আাছর অনুষ্ঠিত ওই জানাজায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত মানুষের ঢল দেখা গেছে।
ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.), এরশাদ সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহসহ সংসদ সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা জানাজায় অংশ নেন।
জানাজার শুরুতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। এরপর এরশাদের ছোটভাই ও সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের এরশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া দোয়া চান।
এ সময় জি এম কাদের বলেন, উনার একটি বর্ণাঢ্য জীবন ছিল। উনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। উনি এদেশের মানুষ ও সমাজের জন্য অনেক কাজ করে গেছেন। ১৯৯১ সাল থেকে একটি বাদে প্রত্যেকটি সংসদ নির্বাচনে আমার ভাই একাধিক আসনে জয়ী হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, উনার ভাই হিসেবে বলছি, উনি যদি কোনো ভুল করে থাকেন তবে আপনারা ক্ষমা করে দেবেন। সকলে তার জন্য দোয়া করবেন।
জানা গেছে, জানাজা শেষে এরশাদের মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল- সিএমএইচ এর হিমঘরে রাখা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় হেলিকপ্টার যোগে তার মরদেহ রংপুরে নেয়া হবে। সেখানে ঈদগাহ মাঠে বাদ জোহর তার চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দাফন নিয়ে আগামীকাল সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে, সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দ্বিতীয় জানাজা শেষে জাতীয় পার্টির কাকরাইল অফিসে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। সেখানে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসাইন মুহম্মদ এরশাদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
এএইচএস/একেএস