• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৫:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৫:৪০ পিএম

ভোট ডাকাতি নয়, জনগণের ভোটেই জিয়া রাষ্ট্রপতি: ড. মোশাররফ 

ভোট ডাকাতি নয়, জনগণের ভোটেই জিয়া রাষ্ট্রপতি: ড. মোশাররফ 
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন- ছবি: জাগরণ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ২৯ ডিসেম্বর রাতে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির মতো নয়, জনগণের ভোটেই জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই রোববার সংসদে দাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ জিয়াউর রহমানকে কটুক্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নাকি অবৈধ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আমি বলতে চাই, ১৯৭৮ সালের জুন মাসে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণ ভোট দিয়ে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিলেন। আওয়ামী লীগের মতো ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ২৯ তারিখ রাতে ডাকাতি করে নয়।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, যারা শহীদ জিয়াউর রহমানকে অবৈধ বলেন তাদের মনে দুর্বলতা রয়েছে। এই সরকার অনির্বাচিত, রাতের অন্ধকারের ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় টিকে আছে। যেহেতু তারা অবৈধ তাই নিজেদের দোষ অন্যের ওপরে চাপানোর চেষ্টা করছে। তারা আজ যে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে সেটিকে তারা ধামাচাপা দিতে চায়। তাদের নিজেদের দোষ অন্যের ওপর চাপাতে চায়। এই কাজটা আওয়ামী লীগ সবসময়ই করে। বাকশাল করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। ২৯ ডিসেম্বর রাতে আবারও তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশালের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের রেকর্ড হচ্ছে গণতন্ত্রকে হত্যা করা। বিএনপির রেকর্ড হচ্ছে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

বিএনপির এই সিনিয়র নীতিনির্ধারক বলেন, আজকে আমরা যখন মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছি তখন গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী। এই ধরনের মামলায় যদি কেউ সাজাপ্রাপ্ত হয়ে থাকে হাইকোর্ট থেকে ৭ দিনের মধ্যে তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করে থাকেন। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আজকে দেড় বছরের ওপরে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের কারাগারে নির্যাতিত হচ্ছেন। তাই আজকে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকল নেতাকর্মীদেরকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে দেশে যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয় গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

মহিলা দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. মোশাররফ বলেন, জনগণ এই অবৈধ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়। আর এই মুক্তি এনে দিতে পারে একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা। তাই আজকে মহিলা দলের ওপর বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। আপনারা যে যে অবস্থানে আছেন আগামী দিনে আপনারা প্রস্তুত থাকবেন, এদেশে স্বৈরাচারী সরকার অতীতে টেকে নাই এবারও টিকবে না। সময় আসছে জনগণ তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দিবে।

পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা একটি শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে আবার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মহিলা দলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেন। 

শোভাযাত্রায় অংশ নেন- মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি নূর জাহান ইয়াসমিন, সহসভাপতি জেবা খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, মহানগর উত্তরের সহসভাপতি মেহেরুন্নেসা হক, সাধারণ সম্পাদক আমেনা খাতুন, যুগ্ম-সম্পাদক রাবেয়া আলম। মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিয়া আলিম, সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার ভূইয়া, যুগ্ম-সম্পাদক রোকেয়া চৌধুরী বেবী প্রমুখ। 

টিএস/টিএফ
 

আরও পড়ুন