বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার একা হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক কোনো জায়গা থেকে সমর্থন পাচ্ছে না। দেশে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই। চলছে রোহিঙ্গা ও ডেঙ্গু সমস্যা। এসব কারণে বাংলাদেশে আজ ক্রান্তিকাল চলছে।

রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে  ‘বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দলের মধ্যে এবং অঙ্গ-সংগঠনগুলোকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পুনর্গঠন করে সময় মতো শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। তাই আমাদের প্রধান স্লোগান হবে স্বৈরাচার হঠাও দেশ বাঁচাও।

আলোচনা সভায় বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাকশাল যদি প্রতিষ্ঠিত করা যেতো তাহলে দেশ আরও উন্নত হতো। সুতরাং যিনি বাকশালের কথা বলেন, তার কাছে গণতন্ত্র আশা করা নিষ্ফল। তাই আন্দোলন-সংগ্রামের বিকল্প নাই। আসুন আমরা গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রাম করি। কারণ গণতন্ত্রের মুক্তির পথে যিনি বাধা, তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পথেও বাধা। 

আমরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে না পারলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না মন্তব্য করে গয়েশ্বর রায় বলেন, আমাদের ঘরে বসে থাকার সময় নেই। বছর শেষ হওয়ার আগেই জনগণকে মুক্ত করতে হবে।

দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে বাংলাদেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক শুন্যতার এসে দাঁড়িয়েছে। এই শুন্যতা দূর করতে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য আজ একতার কথা বলা হচ্ছে। আর আমাদের একতা সৃষ্টি হয়ে গেছে। বাংলাদেশের জনগণ এই একতায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি নির্যাতিত নেতারা এবং যারা ভোট দিতে পারে নাই, তারা আজ একতাবদ্ধ।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ রায়, ড.আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রকিব, গণফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

টিএস/বিএস