• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০১৮, ০৭:৫১ পিএম

রাতভর আটকে রেখে মা-মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ 

রাতভর আটকে রেখে মা-মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ 


 

রাজধানীর গুলশান-১ এর একটি রেস্ট হাউজে জোর করে আটকে রেখে রাতভর মা-মেয়েকে নির্যাতন ও ধর্ষণ-চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে গুলশান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার মা হালিমা বেগম। 

গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই সিনথিয়া আক্তার জানান, দুইজনকে অভিযুক্ত করে থানায় হালিমা বেগম অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত চলছে, মামলা হবে। অভিযুক্তরা হচ্ছেন- স্বপন শহীদুল্লাহ ও রাকিব।

নির্যাতনে শিকার হালিমা বেগম অভিযোগ করেন, বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। পরে তাদের দুইজনকে ফেলে চলে যায় ওই দুইজন নির্যাতনকারীরা। এরপর পাশের বিল্ডিং এর একজন লোক পুলিশকে খবর দিলে রেস্ট হাউজ থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

হালিমা জানান, নাটক, নাচ-গানের সাথে যুক্ত তিনি। তার দুই মেয়ে। নওশীন বড়। স্বামী নেই। বেশ কিছুদিন আগে স্বপন শহীদুল্লাহর সাথে তার পরিচয় হয়। বুধবার বিকেলে ইন্ডিয়ান অ্যাম্বাসি থেকে মেয়ে নওশীনের পাসপোর্ট নেয়ার জন্য মেয়েকে নিয়ে আসেন তিনি। পাসপোর্ট নেয়ার পর শহীদুল্লাহ তার সাথে দেখা করতে বলেন। আমি ও আমার মেয়েকে নিয়ে শহিদুল্লাহ সাথে দেখা করি। তারা  আমাদের একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেটি দেখতে বাসার মতো হলেও আসলে রেস্ট হাউজ। আমাদের রেস্ট হাউজে জোর করে আটকে রাখে। চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে বলে, আজকে যেতে দেবে না। রেস্ট হাউজের ম্যানেজার বাইরে থেকে তালা মেরে চলে যায়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাতভর শহীদুল্লাহ আমার ও মেয়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। খারাপ কাজ করার জন্য টাকাও অফার করে। মেয়েকে ধর্ষণ করার চেস্টা করে। নওশীন প্রচণ্ড চিৎকার দিলে শহীদুল্লাহ তাকে ছেড়ে দেয়। সকালে আমাদের ফেলে শহীদুল্লাহ ও রাকিব চলে যায়।

হালিমা বেগমের বাসা বনশ্রীর ‘এ’ ব্লকে। তিনি জানান, জোর করে রাতভর নির্যাতন ও ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মশিউর জাগরণকে জানান, গুলশানের একটি রেস্ট হাউজ থেকে মা-মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। নির্যাতন ও ধর্ষণ-চেষ্টার অভিযোগে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মামলা হলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরআর/এসএমএম