• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২০, ১০:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৪, ২০২০, ১০:০৮ পিএম

কয়েক লাখ টাকার লোভে সহকর্মীকে হত্যা, মিলেছে সাড়ে ৩ হাজার

কয়েক লাখ টাকার লোভে সহকর্মীকে হত্যা, মিলেছে সাড়ে ৩ হাজার
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের পটিয়া থানাধীন কালারপোল এলাকার চাঞ্চল্যকর পান দোকানদার হত্যার রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

সোমবার (৪ মে) সকালে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দত্তপাড়া গ্রামের বান বাড়ি থেকে শাওন ওরফে সাগরকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এএসপি মাহমুদুল হাসান।

গ্রেফতার শাওন ওরফে সাগর ওই এলাকার আবদুল মালেক স্বপনের বড় ছেলে। 

এর আগে গত ২১ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়ার কালারপোল এলাকায় অবস্থিত আজিজিয়া রেস্টুরেন্টের ভিতরে পানির ড্রামের মধ্যে ওই এলাকার আবদুল কাদেরের (২৬) মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনায় কারও জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ না থাকায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ২৩ এপ্রিল পটিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন, আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে ঘটনায় জড়িত দুইজনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। এর মধ্যে একজন শাওনকে লক্ষ্মীপুরের নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতার শাওন আজিজিয়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, মৃত আবদুল কাদেরের স্বচ্ছল জীবনযাপন দেখে সে এবং অপর হত্যাকারীর ধারণা হয় তার কাছে কয়েক লক্ষ টাকা জমা আছে। হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে থেকে কাদেরকে হত্যা করে তার জমানো টাকা-পয়সা নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করে।

ঘটনার তিনদিন আগেও তারা একবার রশি এবং চাপাতি নিয়ে কাদেরকে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু সুযোগ না পাওয়ায় ওইদিন তাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। সবশেষ ২০ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে হোটেলের ভিতরে টেবিলের ওপরে ঘুমন্ত অবস্থায় কাদেরকে তারা দুইজন রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এক পর্যায়ে কাদেরের ঘুম ভেঙে গেলে সে চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারতে থাকে। তাকে ধাক্কা দিয়ে টেবিলের উপর থেকে ফেলে দিলে মুখের এক অংশ থেতলে যায়। তারপর একজন আবদুল কাদেরের মাথা চেপে ধরে, অপরজন আবদুল কাদেরের শরীরের ওপরে বসে তার মুখের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে রাখলে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ড্রামের ভেতরে ঢুকিয়ে ভিকটিমের কাছ থেকে প্রাপ্ত ৩ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত শাওনের সহযোগীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান র‌্যাব- ৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এএসপি মাহমুদুল হাসান।

এসএমএম

আরও পড়ুন