• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০১৯, ০৬:৪৮ পিএম

গেন্ডারিয়ায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

গেন্ডারিয়ায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

 

পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় আয়শা মনি নামের ২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ বলছে, ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায় নি। অভিযুক্ত নাহিদ হোসেন (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে।

আয়শা মনির বাবা ইদ্রিস আলি দৈনিক জাগরণের কাছে অভিযোগ করেন, শনিবার (৫ জানুয়ারি) গেন্ডারিয়ায় দ্বীন নাথ সেন রোডের সাধনা ঔষধালয় গলির ৫৩/১ ছ এর চার তলা বাসার তিন তলা থেকে শিশু আয়শা মনিকে ফেলে দেয়া হয়। তখন আমি কাজে বাইরে ছিলাম। পরে বাসায় এসে জানতে পারি বাড়ির মালিক নাহিদ হোসেন আমার মেয়ে আয়শা মনিকে ভুলিয়ে কোলে করে উপরে নিয়ে যায়। তারপর রেপ করে ৩ তলার রেলিং থেকে ফেলে দেয়।

শরিয়তপুর জাজিরা উপজেলার ইদ্রিস অালীর ৪ সন্তানের মধ্যে ৩য় অায়শা। বর্তমানে গেন্ডারিয়ার দ্বীন নাথ সেন রোডের সাধনা ঔষধালয় গলি ৮২-সি/২ নম্বর টিনসেড বাসায় থাকতো। বাবা ইদ্রিস অালী ওয়ার্কশপ কর্মচারী।

পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে ইদ্রিস আলি বলেন, প্রথমে আমরা বুঝতে পারি নাই যে আয়শা মনিকে রেপ করে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরে বাড়িওয়ালা নাহিদ হোসেনের মেয়ে সবাইকে বলে দেয় যে, তার বাবা কোলে করে আয়শাকে উপরে নিয়ে যায়। এর অনেকক্ষন পর ছাদ থেকে কিছু পড়ার আওয়াজ আসে। তখন দেখা যায় আয়শা রক্তাক্ত অবস্তায় পড়ে আছে।

নাহিদের মেয়ে ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে পাওয়া বক্তব্যে বুঝতে পারি তাকে রেপ করে হত্যা করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গেন্ডারিয়া থানার এস আই রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার ভোররাতে বাড়িওয়ালা নাহিদকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।  

নাহিদ হোসেনের মেয়ের বক্তব্যে বুঝা যায় নাহিদ হোসেন ঘটনার সাথে জড়িত।

ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মামলা না করার বিষয়ে জানতে চাইলে ইদ্রিস আলি বলেন, আজকে থানায় গিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে নাহিদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। তিনি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার ঘটনার পর রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আয়েশাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাত সোয়া ৮ টায় মৃত ঘোষণা করেন। পরে আয়েশার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর রোববার জুরাইন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

আরআর/এসজেড