• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০১৯, ০৯:০৮ এএম

উখিয়ায় সবজির বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

উখিয়ায় সবজির বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন

 

উখিয়ায় চলতি মৌসুমে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আবাদকৃত জমিতে শীতকালীন সবজির আশাতীত বাম্পার ফলন হয়েছে। সবুজে সবুজে ভরে গেছে উপজেলার সব ফসলি মাঠ। এতে কৃষকের মুখে হাসির অন্ত নেই। কৃষকরা ফসল উত্তোলন ও বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ মৌসুমে প্রায় ৫ কোটি টাকার সবজি উৎপাদন হবে বলে দাবি করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারা বছরই শাক-সবজির চাহিদা থাকায় ও বাজারে ভাল দাম পেয়ে কৃষক ও বিভিন্ন পেশার লোকজন সবজি চাষে
ঝুঁকে পড়েছেন। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ হয়েছে।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহজাহান জানান, রোগ বালাই বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় চলতি মৌসুমে বেগুন, আলু, মরিচ, মুলা, টমেটো, লাল শাক, শিম, বরবটি, ফেলন, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, কুমড়া, খিরা বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। যা বিক্রি করে প্রায় ৫ কোটি টাকা আয় করবে কৃষক।

রাজাপালং ইউনিয়নের জাদিমুরা ও খয়রাতি এলাকার সবজি চাষী আব্দুর রহিম, ওমর আলীসহ  অনেকে  কৃষক জানান, তারা গত দুই বছর ধরে তাদের ধানি জমিতে খিরাসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করে আসছেন।  বোরো চাষাবাদের তুলনায় শাক-সবজি চাষাবাদ করে তারা বেশি লাভবান হয়েছেন।  চলতি মৌসুমে তারা এক একর জমিতে আলু, বেগুন, মরিচ ও খিরা চাষাবাদ করেছেন। এ পর্যন্ত তারা শাক-সবজি বাজারজাত করে লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। তাদের মতে আরো প্রায় লক্ষাধিক টাকার সবজি বাজারজাত করার আশা করছেন তারা। 

কৃষকরা জানান, এক একর জমিতে বোরো চাষাবাদ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ পড়ে। উৎপাদিত ধান, চাল বাজারে বিক্রি করে এই পরিমাণ টাকা পাওয়া যায় না।  বিভিন্ন সবজি চাষাবাদের মাধ্যমে তাদের আত্মসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, সবজি চাষাবাদের প্রতি স্থানীয় কৃষকরা ঝুঁকে পড়ার কারণে তারা মাঠ পর্যায়ে সবজি চাষাবাদ তদারকি করে বিভিন্ন কৃষি প্রযুক্তির ব্যাপারে কৃষকদের ধারণা দিচ্ছেন।

বিএস