২৩ বছরের ব্যবধানে তেমন বাড়েনি কৃষিজমি। অথচ ধানের উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণের বর্তমান অবস্থা ধরে রাখতে উচ্চ ফলনশীল জাত আবিষ্কারের বিকল্প নেই।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, পৃথিবীর অনেক ভালো অর্থনীতির দেশ কৃষিনির্ভর। আমাদেরও মানগত কৃষি নির্ভরতার দিকে এগুতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে দেশে ধান উৎপাদনে কৃষি জমির মোট পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৫১৭ একর। গত অর্থবছর (২০১৭-১৮) শেষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭০০ একর। এতে দেখা গেছে ২৩ বছরের ব্যবধানে ধান উৎপাদনে কৃষি জমির পরিমাণ বেড়েছে ৪ হাজার ১৮৩ একর।
১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে আউশ ধান উৎপাদনে জমির পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ১১১ একর, আমন ধান উৎপাদনে জমির পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৮২৪ একর ও বোরো ধান উৎপাদনে কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৫৮২ একর। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আউশ উৎপাদনে কৃষিজমি ছিল ২ হাজার ৬৫৭ একর, আমন উৎপাদনে ১৪ হাজার ৩৫ একর ও বোরো ধান উৎপাদনে কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৮ একর।
পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, ২৩ বছরের ব্যবধানে আউশ, আমন ও বোরো ধানের উৎপাদন বেড়েছে ব্যাপকহারে। এরমধ্যে ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে যেখানে আউশ ধান উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৯১ মেট্রিক টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭১০ মেট্রিক টনে।
আমন ধানেও এসেছে সুখবর। ২৩ বছরের ব্যবধানে আমন ধানের উৎপাদন বেড়েছে ৫ হাজার ৪৮৪ মেট্রিক টন। একই সময়ের ব্যবধানে বোরো ধানের উৎপাদন বেড়েছে ১৩ হাজার ৩৮ মেট্রিক টন। ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে বোরো ধানের উৎপাদন ছিল ৬ হাজার ৫৩৮ মেট্রিক টন আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫৭৬ মেট্রিক টনে।
কেএ/এসএমএম