ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, নগদ টাকা অস্ত্র জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পুরান ঢাকা ৩১ নম্বর বানিয়ানগরের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব-৩।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, নগদ অন্তত ১ কোটি পাঁচ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। স্বর্ণ আনুমানিক ৭৩০ ভরি।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক শফিউল্লাহ বুলবুল জানান, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, টাকা ও সোনা রাখতে ইংলিশ রোড থেকে পাঁচটি ভল্ট ভাড়া করা হয়েছে। এই সূত্র ধরে ৩১ নম্বর বানিয়ানগরের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এই বাড়ির তৃতীয় ও পঞ্চম তলায় তিনটি ভল্ট পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে অভিযান শুরুর পর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভল্টগুলো খোলা হয়। তিনটি ভল্ট থেকে এককোটি পাঁচ লাখ নগদ টাকা, আট কেজি বা ৭৩০ ভরি সোনার অলংকার উদ্ধার করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য চার কোটি টাকা। বাসাটি থেকে পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব।’
শফিউল্লাহ বুলবুল জানান, ‘আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অংশীদার। সেখান থেকে পাওয়া লভ্যাংশের টাকা দিয়ে সোনা ভল্টে লুকিয়ে রাখতো সে। নগদ টাকা রাখতে বেশি জায়গার প্রয়োজন, সেজন্য টাকাগুলো নিয়ে এসে সোনায় কনভার্ট করতো।’
এনামুলের ভাই গেন্ডারিয়া থানা অওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান শফিউল্লাহ বুলবুল।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো দিয়ে এনামুল ও রুপন ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো বলে র্যাবকে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এদিকে, অভিযানের আগেই পালিয়েছে রুপন। বাড়ির অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব জানতে পেরেছে এনামুল সপ্তাহখানেক আগে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।
র্যাব জানায়, পাঁচটি ভল্টের মধ্যে তিনটি এ বাড়িতে পাওয়া গেছে। অন্য দুটি ভল্টের মধ্যে একটি নারিন্দার এক বাসায় রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানেও অভিযান চালানো হবে। তবে আরেকটি ভল্টের অবস্থান এখনও জানতে পারেননি অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাবের সদস্যরা।
এইচএম/বিএস