• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০১৮, ০৪:১৯ পিএম

বাড়তি সুবিধায় জমজমাট আয়কর মেলা

বাড়তি সুবিধায় জমজমাট আয়কর মেলা

 

বাড়তি সুবিধা প্রদানের কারণে এবারের আয়কর মেলা জমজমাট হয়ে উঠেছে। সোমবার শেষ হতে যাওয়া মেলায় রোববার ছিল উপচেপড়া ভিড়।

এবারের মেলায় আয়কর রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইএন সেবা গ্রহণের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য আলাদা বুথসহ ১১ ধরনের সুবিধা রাখা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ঢাকাসহ সারাদেশে ২০১৮-২০১৯ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারা। ঢাকার মেলায় সব বিভাগের মানুষের জন্য আলাদা আলাদা বুথের ব্যবস্থা। এছাড়া একটি বুথে করদাতাদের ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশন সুবিধা।

সেইসঙ্গে এনবিআরের ই-পেমেন্ট ওয়েবসাইটে অনলাইনে আয়কর পরিশোধ করা যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ রাখা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ আয়কর দাতা সৃষ্টি ও কর সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য কর শিক্ষণ ফোরাম রাখা হয়েছে মেলাটিতে। শিক্ষার্থীদের কর সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পর আবার কুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১০ জনকে পুরস্কৃতও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ।

মেলায় সোনালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের শাখা রয়েছে, যাতে করদাতারা আয়কর জমা দিতে পারছেন। সঞ্চয় অধিদপ্তরের জন্য আলাদা বুথও রয়েছে। সেখান থেকে করদাতারা সঞ্চয়ের যেকোনো তথ্য জানতে পারছেন।

আয়কর রিটার্ন, ই-টিআইএন আবেদন ফরম এবং চালান ফরম ও করদাতাদের সুবিধার্থে হেল্প ডেস্ক, তথ্য কেন্দ্র ও আয়কর সংক্রান্ত বুথ রাখা হয়েছে। এসব বুথের মাধ্যমে করদাতাদের আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ, চালান ও পে-অর্ডার তৈরিসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

করদাতাদের সুবিধার্থে ৪৩টি আয়কর রিটার্ন বুথ, ৩১টি হেল্প ডেস্ক ও ব্যাংক বুথ (সোনালী ব্যাংক ১৩টি, জনতা ব্যাংক পাঁচটি এবং বেসিক ব্যাংক তিনটি) রয়েছে মেলায়। এছাড়া ই-পেমেন্টের জন্য তিনটি ও ই-ফাইলিংয়ের জন্য দু’টি আলাদা বুথও রাখা হয়েছে।

এছাড়াও তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য মেডিকেল বুথও রাখা হয়েছে। সবশেষ করদাতাদের সুবিধার জন্য মেলায় ফটোকপির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা রয়েছে।

মেলায় রোববার কথা হয় কর দিতে আসা ফারহানা পারভীনের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতিবারের ন্যায় এবারও আয়কর মেলায় তিনি কর জমা দিয়েছেন।

কথা হয় অধরা হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অন্য সময় ব্যস্ততা কিংবা অন্যান্য কারণে আয়কর জমা দেওয়া হয় না। তাই মেলাকেই আয়কর জমা দেওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় বলে মনে করি।’

ব্যাংকার শামসুল আরেফিন বলেন, আয়কর দিতেই হবে। সুতরাং সেটা মেলা হোক কিংবা অন্যভাবে হোক। তবে মেলায় আসার উদ্দেশ্য কিছু বিষয় সম্পর্কে অবহিত হওয়া বলেই মন্তব্য করেন তিনি।

গত ১৩ নভেম্বর সকাল ৯টায় রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে শুরু হওয়া মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। মেলা শেষ হচ্ছে সোমবার বিকেল ৫টায়।

কেএ/জেডএস