• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০১৯, ০৯:১৯ পিএম

বন্ধ হল আইএফআইসি ও এক্সিম ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা

বন্ধ হল আইএফআইসি ও এক্সিম ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা

 


জানুয়ারি মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোট লেনদেন ৩৪ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা প্রতিদিন গড়ে লেনদেন এক হাজার ১১৬ কোটি টাকা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ১২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা উত্তোলন ১৩ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর পাঁচ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা 

.............................................

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা কড়াকড়ি ও ধারাবাহিক লোকসানের কারণে এক্সিম ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংক তাদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে এমএফএস হিসাবধারী কমেছে ২ লাখ ৩২ হাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, জানুয়ারি শেষে এমএফএস হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার, যা আগের মাসের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ কম। ডিসেম্বর হিসাবে এই সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার। হিসাবধারীর সঙ্গে সঙ্গে কমেছে সক্রিয় হিসাবের সংখ্যাও। জানুয়ারি শেষে এমএফএস এ সক্রিয় হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার, যা আগের মাসের তুলনায় ১০ দশমিক ৩ শতাংশ কম। ডিসেম্বর হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার। সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসতে ২০১০ সালে শুরু হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পথচলা। সমাপ্ত বছরের শেষ পর্যন্ত (ডিসেম্বর) দেশের ২৯টি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন থাকলেও কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল ১৮টি ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী ২০১৮ সাল শেষে দুইটি ব্যাংক বন্ধ করে দিয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। নানামুখী ব্যবহার আর সহজলভ্য হওয়ার কারণে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্রামীণ জনজীবন অনেক সহজ হয়েছে। এর মাধ্যমে ঘরে বসেই করা যায় অনেক কাজ। বাস ও ট্রেনের টিকিট থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন পরিশোধ করা, কেনাকাটা করা ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায় মানুষের হাতের মুঠোয় থাকা ছোট্ট যন্ত্রটির মাধ্যমে। কিন্তু নতুন বছরে এসে এক্সিম ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংক বন্ধ করে দিয়েছে তাদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা।

সূত্র আরও জানায়, এক্সিম ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংক তাদের এমএফএস সেবা বন্ধ করায় জানুয়ারির শেষে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৬টিতে দাঁড়িয়েছে। ফলে দেশে মোট নিবন্ধিত এমএফএস হিসাবের সংখ্যা কমেছে। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯৯৬। ডিসেম্বরে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৩।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৪ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১১৬ কোটি টাকা। মাসজুড়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ১২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। উত্তোলন করা হয়েছে ১৩ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ হয়েছে ৭৪৭ কোটি টাকা। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ২৭৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৪০৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সরকারি পরিশোধ ২৮৮ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৫২৭ কোটি টাকা।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।

এআই/এসএমএম