● কর অঞ্চলের সংখ্যা ৩১টি থেকে ৬৩টিতে উন্নীত করা হবে
● ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
● অপরিবর্তিত থাকছে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা
প্রায় সোয়া ৫ লাখ কোটি টাকার রেকর্ড বাজেট। অর্থের যোগানে সার্বিকভাবে বিভিন্ন করের ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে সরকারকে। তাই সার্বিক কর ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে।
কোনও কোনও ক্ষেত্রে যা থাকছে অপরিবর্তিত।
অনেক সমালোচনার পরও মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। এ সুযোগ থাকছে ফ্ল্যাট ও অ্যাপর্টমেন্ট কেনা এবং দালান নির্মাণে।
এবারও অপরিবর্তিত থাকছে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা। এটি আগের মতই আড়াই লাখ টাকা। নারীদের জন্য তিন লাখ।
করপোরেট করহারেও তেমন কোনও পরিবর্তন নেই। মোবাইল ফোন কোম্পানির টার্নওভারে কর বাড়ছে। সারচার্জের ক্ষেত্রে সম্পদের সীমা বাড়ানো হয়েছে। সোয়া ২ কোটি থেকে যা উন্নীত করা হয়েছে ৩ কোটিতে।
বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে নতুন ভ্যাট আইন। ১৫ শতাংশ ভ্যাটহারের পাশাপাশি নির্দিষ্ট পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ৫, ৭.৫ ও ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। ভ্যাট নিবন্ধন সীমা ৮০ লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকা করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের মূসক নেটের বাইরে রাখতে টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা দিতে ও পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
বড় অঙ্কের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রত্যেক উপজেলায় কর অফিস স্থাপন করা হবে এবং কর অঞ্চলের সংখ্যা ৩১টি থেকে ৬৩টি তে উন্নীত করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয় বাজেটে।
এসএমএম