• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২০, ০১:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৭, ২০২০, ০১:৪৮ পিএম

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী বস্ত্র মেলা 

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী বস্ত্র মেলা 
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া -ছবি : জাগরণ

জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে আগামী ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনব্যাপী বস্ত্র মেলা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং মেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

সচিব জানান, অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন ও রফতানি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯টি এ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ ২০১৯ উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্রখাতের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পোষাকখাত। 

কোকমান হোসেন আরও বলেন, এ খাত থেকে দেশের রফতানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশ অর্জিত হয়। দেশের মোট জিডিপির প্রায় ১২ শতাংশ আসে বস্ত্রখাত থেকে। তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ বাংলাদেশের সমাজ জীবনে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করেছে।  বর্তমানে বস্ত্রখাতে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমজীবী কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমজীবী নারী এবং এসব কর্মকাণ্ড নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।  

সচিব জানান, বস্ত্র শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচারণার লক্ষ্যে ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ দেশব্যাপী উদযাপন করা হয়েছে। এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন-টেকসই উন্নয়ন’।

তিনি জানান, বিদ্যমান ও বিকাশমান বস্ত্র শিল্প কারখানার জন্য মানসম্মত বস্ত্র উৎপাদনে দক্ষ বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ প্রয়োজন। এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বস্ত্র অধিদপ্তর সরকারি পর্যায়ে ৪২ টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট, ৭টি টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট এবং ৭টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মাধ্যমে স্বল্প খরচে বস্ত্র খাতের জন্য দক্ষ শ্রমিক, সুপারভাইজার, ডিপ্লোমা প্রযুক্তিবিদ সর্বোপরি স্নাতক পর্যায়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করে চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি বস্ত্র শিল্প কারখানায় সরবরাহ করছে। 

দেশের তাঁত শিল্পের উন্নয়নের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৭টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।

এমএএম/একেএস