• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০, ০৫:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০, ০৫:২৮ পিএম

১০ দিন কেউ পেঁয়াজ না কিনলে দাম স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী 

১০ দিন কেউ পেঁয়াজ না কিনলে দাম স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী 
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ফাইল ফটো

গত ১০ সেপ্টেম্বর বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবার সর্বোচ্চ পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অথচ এর ৪ দিন পর ১৪ সেপ্টেম্বর কোনো ঘোষণা ছাড়াই রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। আর তাতেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

পেঁয়াজের বাজারে আগুন ধরা নিয়ে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সিন্ডিকেট করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আগামী ১০ দিন আপনারা পেঁয়াজ কেনা বন্ধ রাখেন। দেখবেন দাম কমে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় আমরা চাপে পড়ে গেছি। গত বছরও ভারত এটা করেছে। ভারতের এ কাজের পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে কি না, তা আমার জানা নেই। প্যানিক সৃষ্টি করে ব্যবসায়ীরা সুবিধা নিচ্ছে। এখন যাদের প্রয়োজন এক কেজি, তিনি কেনেন ১০ কেজি। এটাই সমস্যা।

টিপু মুনশি বলেন, ভারত ডব্লিউটিওর নীতি ভঙ্গ করছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখব। আগামী এক মাস মানুষকে পেঁয়াজ খাওয়ার বিষয়ে ধৈর্য ও সহনশীল হতে হবে। মানুষ সহনশীল হলে দাম স্বাভাবিক হবে। দয়া করে এক মাস সাশ্রয়ী হোন। 

উল্লেখ্য, নিজেদের বাজার সামাল দিতে গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্য টনপ্রতি ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয় ভারত। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর রফতানিই বন্ধ করে দেয় দেশটি। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ওঠে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পরবর্তীতে মার্চ মাসে পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় এবং মূল্যবৃদ্ধি রুখতে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে সব ধরনের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত। এর আগে, রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে পেঁয়াজের প্রতি টন আড়াইশো ডলারে আমদানি হলেও সোমবার তা চাওয়া হয় ৭৫০ ডলার।

এসইউ