• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০১৯, ০৯:৩৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৯, ২০১৯, ০৩:৩৯ পিএম

ঢামেক মর্গ থেকে রাতেই ৭ মরদেহ হস্তান্তর

ঢামেক মর্গ থেকে রাতেই ৭ মরদেহ হস্তান্তর


বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের গতকাল মধ্যরাতে স্বজনদের কাছে ন্যস্ত করা হয়েছে। এর আগে দগ্ধ লাশগুলো বনানী আর এফ ভবন থেকে দমকল কর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সাতটি মরদেহ রাখা ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) মর্গে। এর মধ্য রাত দেড়টার দিকে ছয়টি লাশ শনাক্ত করেছেন তাদের স্বজনরা। সেগুলো গতকাল রাতেই ন্যস্ত করা হয়েছে। বাকী মরদেহ গুলো ভোররাতে স্বজনদের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস।

তারা হলেন- ফজলে রাব্বি (২৭), তানজির আবির (২৪), শেখ তাসনিম বৃষ্টি (২৭), আমির হোসেন রাব্বি (২৯), মির্জা আতিকুর রহমান (৪৪) ও মঞ্জুর হাসান (৩৫)। এছাড়া, আরও একজনের মরদেহ রয়েছে ঢামেক মর্গে। সঙ্গে থাকা কাগজপত্র থেকে জানা গেছে, তার নাম ইফতেখার হোসেন। নিহতদের মধ্যে ফজলে রাব্বির (২৭) পিতা জহিরুল হক, তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ। এফআর টাওয়ারের ১১ তলায় ইউরো সার্ভিস নামে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। তানজির আবিরের (২৪) মরদেহ শনাক্ত করেন তার দুলাভাই দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, তানজিরের বাবা আবু বকর সিদ্দিক, তাদের বাড়ি লালমনিরহাট। কল্যাণপুর মধ্য পাইকপাড়ায় থাকতেন তানজির। মিরচি সিকিউরিটিজ নামে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

 

শেখ তাসনিম বৃষ্টির (২৭) স্বামী কাজী নূর। তাদের গ্রামে বাড়ি যশোর, থাকতেন খিলক্ষেতে। চাচাত ভাই জিসান তার মরদেহ শনাক্ত করেন। তিনি জানান, এফআর টাওয়ারের ১২ তলায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন বৃষ্টি। বন্ধু গিয়াস উদ্দিন শনাক্ত করেন আমির হোসেন রাব্বির (২৯) মরদেহ। গিয়াস জানান, আমিরের বাবা আইয়ুব আলী, তাদের বাড়ি পাবনা। খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকায় থাকতেন। বনানীর ওই ভবনে ১১ তলায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। মির্জা আতিকুর রহমানের (৪৪) চাচাত ভাই আবুল খায়ের তার মরদেহ শনাক্ত করেন। খায়ের জানান, আতিকুরের বাড়ি শরীয়তপুর, ক্যান্টনমেন্ট মানিকদী এলাকায় থাকতেন। এফআর টাওয়ারের ১৩ তলায় স্ক্যানওয়েল লজিস্টিকসে চাকরি করতেন তিনি। শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে আরেকটি মঞ্জুর হাসানের (৩৫)। তার বাবা মনসুর মন্ডল, বাড়ি নওগাঁ সদরে। ইব্রাহিমপুর এলাকায় থাকতেন। তার মরদেহটি শনাক্ত করেন শ্যালক জগলুল আলম। তিনি জানান, পায়ে সমস্যা থাকায় স্ক্র্যাচ নিয়ে চলাফেরা করতেন মঞ্জুর।

ঢামেক প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে এ পর্যন্ত সাতটি মরদেহ এসেছে। সবকটি মরদেহ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। রাতেই তাদের কাছে মরদেহগুলো ন্যস্ত করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টার দিকে আগুন লাগে বনানীর এফআর টাওয়ারে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি তলায়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় ২৬ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

এইচএম/টিএফ