• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০১৯, ০৬:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১, ২০১৯, ০৬:০৫ পিএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি ড. খন্দকার মোশাররফের

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি ড. খন্দকার মোশাররফের
ডেঙ্গু নিয়ে রাজধানীতে বিএনপির র‌্যালি- ছবি: জাগরণ

বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয় দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন- জনগণের প্রতি এই সরকারের দায়বদ্ধতা নেই। তাই এই ভয়াবহ বন্যা এবং ডেঙ্গুর সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে থাকেন। এ থেকে বোঝা যায় সরকার জনগণের প্রতি কতটা অবহেলা ও উদাসীন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদত্যাগের দাবি করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) ঢাকা জজ কোর্ট এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রার কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব  দাবি করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এর শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য এবং জনগণকে সচেতন করার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আজ এই শোভাযাত্রা আয়োজন করেছিলো। কিন্তু আমাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে প্রশাসন পালন করতে না দেয়ায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
  
তিনি বলেন, যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন সমন্বিতভাবে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতো তবে  ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করতো না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলাম তখনও ডেঙ্গু ছিল। তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশন সমন্বিতভাবে প্রোগ্রাম নিয়েছি। প্রত্যেক সিজনের আগে  ঢাকার তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে আমরা সভা করে কৌশল নির্ধারণ করেছি এবং আমরা সফলও হয়েছি।

তিনি বলেন, তখনও ডেঙ্গু ছিল। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা যেহেতু সচেতন ছিলাম তাই ডেঙ্গু এত মহামারী আকার ধারণ করতে পারেনি। এখনও সামনে দুই মাস রয়েছে। আমরা জনগণের রাজনীতি করি। সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমরা সারা বাংলাদেশে জনগণকে সচেতন করার জন্য এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এখনও যদি জনগণ সচেতন হয়, যার যার বাড়িতে স্বচ্ছ পানি আটকে থাকে সেই পানি যদি ফেলে দেয় এবং সরকার এখনও যদি সচেষ্ট হয় তাহলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা কমিয়ে আনা সম্ভব। 

তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, আমরা শুনেছি যে মশা নিধনের জন্য সিটি করেপোরেশন থেকে যে ওষুধগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে আইসিডিডিআরবি গত মার্চ মাসেই বলেছে এগুলোর কোনো কার্যকারিতা নেই। কার্যকর ওষুধ আনার জন্য হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছে। কালকেও জানতে চাওয়া হয়েছে কত দিনের মধ্যে কার্যকর ওষুধ আনা হবে? ’

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রশিদ হাবিব, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, তানভির আহমেদ রবিন, ফরিদ উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, ঢাকা মহানগর শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি সুমন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক  মাহবুবুর রহমান বাদল প্রমুখ।

টিএস/বিএস 
 

আরও পড়ুন