• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০১৯, ০৪:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২, ২০১৯, ০৩:৫৪ এএম

অগ্নিকাণ্ড রোধে প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা 

অগ্নিকাণ্ড রোধে প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ফাইল ছবি

বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ। এ  মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় মন্ত্রিসভায়। 

পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ ও অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষতি এড়াতে ১৫ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সোমবার (০১ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঢাকার ভবনগুলো পরিদর্শনের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২৪টি দল গঠন করেছে। এই দলগুলো ভবন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রীর যে ১৫  নির্দেশনা- 

১. ফায়ার সার্ভিসের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে হাইরাইজ বিল্ডিং নির্মাণ এবং অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।

২. ভবনগুলোর অগ্নিনিরোধক সিস্টেম বা ক্লিয়ারেন্স প্রতি বছর নবায়ন করা।

৩. বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা।

৩. এক থেকে তিন মাসের মধ্যে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া করা।

৪. অগ্নিকাণ্ডের সময় ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু এড়াতে ভবনে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অবলম্বন।

৫. পানির অভাবে অনেক সময় ফায়ার সার্ভিস কাজ করতে পারে না; তাই যেখানে যেখানে সম্ভব জলাশয় বা জলাধার তৈরি করা।

৬. রাজধানীর আশপাশের লেকগুলো সংরক্ষণ করা।

৭. অগ্নিকাণ্ড বা অন্যান্য দুর্ঘটনায় ২৩তলা পর্যন্ত পৌঁছানোর উপযোগী তিনটি লম্বা সিঁড়ি আছে ফায়ার সার্ভিসের। এর সংখ্যা বাড়াতে হবে।

৮. প্রকৌশলীরা যেন পরিবেশ ও বাস্তবতার নিরেখে অবকাঠামোর নকশা করেন, তা নিশ্চিত করা।

৯. প্রতিটি ভবনের চারপাশে দরজা-জানালাসহ শতভাগ ফায়ার এক্সিট নিশ্চিত করা।

১০. অনেক জায়গায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে দরজা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফায়ার এক্সিট যেন সবসময় ওপেন থাকে, অর্থাৎ ম্যানুয়ালি যেন তা খোলা যায়।

১১. জরুরি প্রয়োজনে মানুষ যেন বহুতল ভবন থেকে তারপুলিনের মাধ্যমে ঝুলে নামতে পারে, সেই পদ্ধতি চালু করা।

১২. হাসপাতাল ও স্কুলে অবশ্যই বারান্দা রাখতে হবে।

১৩. ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা জায়গা বাঁচাতে ভবনের ভেতর সব জায়গা বন্ধ করে ডিজাইন করেন। এ রকম কোনো ডিজাইন করা যাবে না।

১৪. দুর্ঘটনার সময় মানুষ যাতে লিফট ব্যবহার না করে সে জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে।

১৫. প্রতিটি ভবনে কমপক্ষে দুটি এক্সিটওয়ে রাখা।

বৃহস্পতিবার  (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায়  রাজধানীর বনানীতে  এফআর টাওয়ারে  আগুন লেগে ২৬ জন নিহত ও  অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। ২৩ তলার ওই ভবনে ১৮ তলার অনুমোদন নেয়া হয়েছিল এবং অগ্নিনিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা সেখানে ছিল না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এমএম/বিএস