চাঁদ দেখা ইস্যুতে ধর্মমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে প্রথম দিনের সংসদ অধিবেশন। মঙ্গলবার (১১ জুন) এ ইস্যুতে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরাও কড়া বক্তব্য রাখেন। সব মিলিয়ে সংসদ অধিবেশন প্রায় ১০ মিনিট উত্তপ্ত থাকে।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের বক্তব্যর সময় হৈ চৈ করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা। এ সময় পরিস্থিতি সামলাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী একাধিকবার তাদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তের সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হচ্ছে ইসলাম। ঈদের চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে। চাঁদ দেখা যায় সন্ধ্যার সময়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী প্রথমে রাত ৯টায় ঘোষণা দিলেন- কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ হবে না। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ করেই আবার বলা হলো- চাঁদ দেখা গেছে, কাল ঈদ। এ নিয়ে জনমনে মারাত্মক ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে। আর ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ কথা যারা বলেন তাদের জ্ঞানের অভাব রয়েছে। এ কথাটি যদি মানতে হয় তাহলে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করা উচিত।
এ সময় তিনি চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তকে কেন্দ্র করে ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানান।
পয়েন্ট অব অর্ডারে জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশে মদ-জুয়ার লাইসেন্স দিয়েছিল। বিএনপির আমলে জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই-শায়খ আবদুর রহমানদের তৎপরতা দেশবাসী দেখেছে। কিন্তু ঈদে চাঁদ দেখা নিয়ে জনগণকে ভোগান্তি দেয়া হয়েছে। আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে বালিশের দাম নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় চলছে।
এর আগে ফ্লোর নিয়ে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, টাকার অভাবে অনেক হাসপাতালে মানুষকে সুচিকিৎসা দিতে পারি না। অথচ পত্রিকায় দেখলাম, যেখানে হাসপাতাল নেই সেখানে যন্ত্রপাতি কিনতে জার্মান যাচ্ছে একটি প্রতিনিধি দল। আবার অনেক যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করার সুযোগ না থাকায় পড়ে আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ যেসব যন্ত্রপাতি পড়ে আছে দয়া করে আমাদের দিয়ে দিন।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, দেশে আসলে হচ্ছেটা কি? নির্বাচনের আগে এই সরকারের একটি প্রতিশ্রুতি ছিল দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র। এখন দেখতে পাচ্ছি কিছুই হচ্ছে না। ব্যাংক থেকে অনেক টাকা গায়েব হয়ে গেছে। এত টাকা গেল কোথায়? বলা হচ্ছে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছড়িয়েছে তাহলে ব্যাংকের টাকা গেল কোথায়? ঋণের টাকা ফেরত আসছে না। আসলে টাকা যাচ্ছে কোথায় সরকারের সেটা খতিয়ে দেখা উচিত।
এইচএস/ একেএস