• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০১৯, ০৬:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৭, ২০১৯, ০৬:২০ পিএম

বিএসএমএমইউ পরিচালকের প্রেস ব্রিফিং

খালেদা জিয়া ডেফিনেটলি বেটার আছেন

খালেদা জিয়া ডেফিনেটলি বেটার আছেন
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কেবিন ব্লক থেকে ‘এ’ ব্লকে ডেন্টাল বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়-ছবি : জাগরণ

‘ইনশাল্লাহ তার অবস্থা ইম্প্রভিং, কমফোরটেবল আছেন। আগে যেভাবে আসছিলেন, তার চেয়ে বেটার, ডেফিনেটলি বেটার আছেন’’ 

------------------------------

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জিবে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তার দূর করতে দাঁতের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বিএসএমএমইউ-এর পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপরের মাড়ির দুইটা দাঁতে ইরিটেশন (যন্ত্রণা অনুভব) হচ্ছিল। সে জন্য তিনি আনইজি ফিল করছিলেন। এ কারণে তার জিবে ছোট আকারে ঘা হয়েছে। সেটাকে ট্রিটমেন্ট দেয়ার জন্য আজকে তাকে ডেন্টাল বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে আধাঘণ্টাব্যাপী চিকিৎসা দিয়ে দাঁতের সমস্যা দূর করে দেয়া হয়েছে। 

খালেদা জিয়া গত চার মাস ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি কেমন আছেন প্রশ্ন করা হলে পরিচালক বলেন, ‘‘উনার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা কনটিনিউ হচ্ছে, আমাদের মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা করছেন। আমি বলতে চাই গ্রেজুয়াল ইম্প্রভিং। আমি আগেও বলেছি, এসব ক্রনিক ডিজিসগুলো ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস এসব রোগ ১১ শতাংশ ভালো করা ডিফিকাল্ট। এসব মিরাক্যালি ভালো হয়ে যাবে সেটাও নয়। 

তিনি বলেন, ‘তিনি ভালো আছেন। আপনারা দেখেছেন তাকে। তাকে দেখে মনে হয়েছে কি তিনি খুব বেশি অসুস্থ? তিনি ভালো আছেন। ইনশাল্লাহ তার অবস্থা ইম্প্রভিং, কমফোরটেবল আছেন। আগে যেভাবে আসছিলেন, তার চেয়ে বেটার, ডেফিনেটলি বেটার আছেন’।

দন্ত সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘এক্সজামিন করে দেখি তার কয়েকটা ভাঙা দাঁতের শেকড় রয়ে গেছে। জিবে যে জায়গাটায় ঘা ছিলো তার থেকে আরেকটা জায়গায় ছোট একটা ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে এবং তার কারণটা হলো উপরের ৮ ও ৭ নম্বর ভাঙা দাঁতের শেকড় আছে। সেই দাঁত দুইটির ভাঙা অংশ ধারালো ছিলো। দাঁত দুইটা সমান করে দেয়া হয়েছে। গ্রাইন্ডিং ও স্মোথ বা পোলিশিং করে দেয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, অন্যান্য দাঁতগুলো ভালো আছে। আমার বিশ্বাস, জিবের ক্ষতটা চলে যাবে। ম্যাডামকে জিজ্ঞাসা করেছি-তিনি বলেছেন, তার আর কোনও সমস্যা নাই। কিছু ফিলিং হয়ত ভবিষ্যতে লাগতে পারে তবে তার কোনও অভিযোগ নেই। 

শামসুল আলম জানান, তাকে (খালেদা জিয়া) মাউথওয়াস দেয়া হয়েছে। ওটা দিয়ে তিনি প্রতিদিন কুলকুচি করবেন।

এর আগে দুপুর দেড়টায় খালেদা জিয়াকে কেবিন ব্লক থেকে হাসপাতালের ‘এ’ ব্লকে নেয়া হয়। দন্ত সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামসুল আলম তার চিকিৎসা দেন। এ সময়ে ম্যাক্সিলারি সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কাজী বিল্লুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। মূলত বিল্লুর রহমািই প্রথম খালেদা জিয়াকে দেখেন। পরে অধ্যাপক শামসুল আলমের কাছে রেফার করা হয়।

ব্রিফিংকালে অধ্যাপক মজিবুর রহমান তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

পরিচালকের ব্রিফিংয়ে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদশ-ড্যাবের বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নানবিধ সমস্যা। দাঁতের সমস্যা, জিবে ঘা হয়েছে। উনি হাঁটতে পারছেন না। দুইজনের সাহায্য নিতে হচ্ছে, ডায়াবেটিস, আর্থারেটিস ইত্যাদিতে আক্রান্ত। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ রাখছি, তার সর্বোচ্চ সুচিকিৎসা যেন দেয়া হয়। 

তিনি বলেন, আমরা ডাক্তার হিসেবে দূর থেকে যতটুকু দেখেছি, ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ। উনার আরও ভালো ও উন্নত চিকিৎসা দরকার।  সেজন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, তার সুচিকিসার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

এ সময়ে ড্যাব নেতা অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম সেলিম, আ ন ম মনোয়ারুল কাদির বিটু, এহতেশামুল হক তুহিন, সাইফুদ্দিন নেসার আহম্মেদ তুষার, রেজাউল আলম, কামরুজ্জামান মিন্টু, শাকিল আহম্মেদ, ইয়াহিয়া খান, মহিলা দলের সাবিনা ইয়াসমীন উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কেবিন ব্লক থেকে ‘এ’ ব্লকে ডেন্টাল বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ২টা ২৬ মিনিটে আবার তাকে ৬২১ নম্বর কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়।

গত ১ এপ্রিল (সোমবার) থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন