• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ১২:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ১২:২৩ পিএম

‘আইএস’ টুপি কারাগার থেকেই এসেছে

‘আইএস’ টুপি কারাগার থেকেই এসেছে
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিগ্যান

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মো. মাহবুব আলম বলেছেন, হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা মামলার রায়ের দিনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিগ্যানসহ দুই জঙ্গির মাথায় যে টুপি ছিল সেটা কারাগার থেকেই এসেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তবে, আই এস লোগো সম্বলিত টুপির আদ্যপান্ত জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে টুপি পরিহিত রিগ্যানসহ দুই জনকে কারাগারের গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্বে আছেন।

মাহবুব আলম বলেন, টুপিটা রিগ্যানের পকেটেই ছিল। তখন টুপিটার ওপর আইএস আদলে লেখাটা ছিল না। কিন্তু পরে সে টুপিটা উল্টে পরে আদালত চত্বরে প্রবেশ করে। তখন লেখাটা গণমাধ্যমে দৃশ্যমান হয়।

জঙ্গি রিগ্যান নিজেও বুধবার (২৭ নভেম্বর) এজলাস থেকে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় জানিয়েছিল, কারাগার থেকেই সে আইএস টুপিটি নিয়ে এসেছিল। তবে সেদিন তার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে পাঠানোর আগে সঠিকভাবে তল্লাশি করা হয়েছে। এতে কোনো গাফিলতি বা ফাঁক-ফোঁকড় ছিল না। আমাদের ভিডিও ফুটেজ দেখলেও তল্লাশির বিষয়টি প্রমাণ পাওয়া যাবে। যে টুপি নিয়ে কথা উঠছে, সেটির বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। ওখানে যে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন, তারা হয়তো বলতে পারবেন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইতিহাসের ভয়াবহতম হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার মামলায়  আট আসামির ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। রায়ের পর আদালত থেকে বের করে আসামিদের প্রিজনভ্যানে তোলার সময় কয়েকজনের মাথায় আইএস’র প্রতীক সংবলিত টুপি দেখা যায়।

এ সময় আসামিরা ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করে এবং এ রায় মানে না বলেও অকথ্য ভাষায় কথা বলতে থাকে। এ সময় জঙ্গিদের মাথায় আইএস’র টুপি এবং তাদের ‘আস্ফালনে’ বিস্মিয় প্রকাশ করেন বিভিন্ন মহল।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে রায় ঘোষণার আগে হাজতখানা থেকে যখন আসামিদের এজলাসে নেওয়া হয়, ঠিক তখন রিগ্যানের মাথায় দেখা যায় কালো একটি টুপি। সেই টুপিতে কোনো ধরনের চিহ্ন বা প্রতীক দেখা যায়নি। তবে রায়ের পর এজলাস থেকে যখন বের করা হয় আসামিদের, তখন রিগ্যানের মাথায় অন্য একটি টুপি দেখা যায়। ওই টুপিতে যে প্রতীক খচিত ছিল, সেটি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) তাদের লোগো হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

আইএস টুপির রহস্য ভেদ করতে বুধবারই তদন্ত কমিটি গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা মহানগর পুলিশ। এর মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো তথ্য না মিললেও একদিনের মাথায় গোয়েন্দা পুলিশ জানাচ্ছে, কারাগার থেকেই টুপিটি পকেটে করে নিয়ে এসেছিল রিগ্যান।

এবিষয়ে সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স মেজর অব শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, কারাগারে এবং প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনার ক্ষেত্রে বন্দির দেহ তল্লাশি করা হয়ে থাকে। এ নিরাপত্তার মাঝেও টুপির মতো ঘটনা ঘটে গেলো। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন তথ্য পাওয়াটা সময়ের ব্যাপার।  

টুপির বিষয়ে পুলিশের সাবেক আইজি একেএম শহীদুল হক বলেন, এ ঘটনাটি নিয়ে সেখানকার কারারক্ষী ও অন্যান্য কারা হাবিলদাসহ সংশ্লিষ্টরা আতঙ্কে রয়েছেন। 

এইচএম/টিএফ
 

আরও পড়ুন