• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০১৯, ০৬:০১ পিএম

‘ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ কিছুটা হলেও রাজনৈতিক’

‘ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ কিছুটা হলেও রাজনৈতিক’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক -ফাইল ছবি

 

সব আইন কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বলা হবে বলে গত রোববার বলেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কবে নাগাদ তা বলা হবে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি আজ শনিবার দৈনিক জাগরণকে বলেছেন, 'শিগগিরই বলব। আমাদের কিছু ব্যাপার আছে। আমাদের কিছু আলাপ-আলোচনার ব্যাপার আছে।'

সব আইন কর্মকর্তা বলতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপিদের সবাইকে বুঝায়। যাদের মধ্যে অনেকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে টানা ১০ বছর এই পদে আছেন। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম নিজেও টানা ১০ বছর যাবত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে আছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য পদের মতে আটর্নি জেনারেল পদে পরিবর্তনের কোনো চিন্তা আছে কি না? এই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'না, এটা তো মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে। এটি তাদের বিষয়। আমি পরামর্শ দিতে পারি- এটুকুই।'

সেই অর্থে বা একই আইনে অতিরিক্ত আটর্নি জেনারেল, ডেপুটি আটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও সহকারী আটর্নি জেনারেলদের নিয়োগও রাষ্ট্রপতি দেন- এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আমার সুপারিশ কনভেনশনাল। সুপারিশ আমরা করি। এর কারণ হচ্ছে, এটা কিছুটা হলেও রাজনৈতিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট (নিয়োগ)। এক্ষেত্রে আমার কিছু কিছু সুপারিশ তিনি গ্রহণ করেন। তিনি আমার মতামত চান সময়ে সময়ে। সংবিধানে বলা আছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আটর্নি জেনারেলকে নিয়োগ দেবেন। সেটা তারই এখতিয়ার।’

প্রসঙ্গত, সব আইন কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বলা হবে বলে গত রোববার জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। যোগ্য ও ত্যাগীদের নিয়োগ দিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।একইসঙ্গে হাইব্রিডদের বাদ দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেদিন আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অল্প দিনের মধ্যে সব আইন কর্মকর্তাকে (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে শুরু করে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি) পদত্যাগ করতে বলা হবে। এরপর যারা যোগ্য ও ত্যাগী তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। হাইব্রিডদের বাদ দেয়া হবে।’

মা আ/ এফসি