• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০১৮, ০৫:৩৭ পিএম

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার ৭ বছরের কারাদণ্ড

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার ৭ বছরের কারাদণ্ড
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ছবি সংগৃহীত)

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার আট মাসের মাথায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় খালেদা জিয়া সহ চারজন আসামির বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষিত হয়। সাজাপ্রাপ্ত অন্য তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।


আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অভিযুক্ত ৪ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছরের কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। এছাড়াও ট্রাস্টের নামে কেনা ঢাকা শহরের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রায়ত্ব করার আদেশও দেয় আদালত।


রায় ঘোষণার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এ মামলার অপর আসামী হারিছ চৌধুরী পলাতক থাকলেও কারাগারে থাকা অপর দুই আসামি জিয়াউল ও মনিরুলকে আদালতে হাজির করা হয়।


খালেদার লিভ টু আপিল এর আবেদন আজ সকালে খারিজ করে দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আপিল খারিজে মামলার রায় প্রকাশে আর কোনো আইনি বাধা না থাকায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ সম্পন্ন করে এ রায় ঘোষনা করে আদালত।


ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় খালেদা জিয়াকে এই সাজা দেয়া হয়েছে। আর আর্থিক ক্ষতি করার ব্যাপারে সহযোগিতা করার দায়ে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় হারিছ, জিয়াউল ও মনিরুল প্রত্যেককে সাত বছর এর কারাদণ্ড দেয়া হয়।


উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। গত ৪ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মামলাটির চলমান আদালতের কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয় এই কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে। গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম সেখানে আদালত বসে। 


বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) ধার্য তারিখে পরবর্তী বিচার কার্যের দিন নির্ধারিত হলে সেখানে আদালত বসেন। কিন্তু সেখানে আসতে অস্বীকৃতি জানান খালেদা জিয়া। এরপরের শুনানির সময় খালেদা জিয়া আসতে পারবেন কিনা বিচারক তা জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি জানাতে পারবেন বলেন। 

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। ঐ সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বেগম জিয়া।