বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রমনা থানার পৃথক তিন মামলায় এই আদেশ দেয়া হয়।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস এই আদেশ দেন।

রমনা থানার তিন মামলায় বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত আসাদুজ্জামানের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জামিন বাতিল করে আসাদুজ্জামান রিপনকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপির এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এবং সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছসহ বেশকিছু নেতা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।

ফখরুল বলেন, জনবিচ্ছিন্ন ও মহাভোট ডাকাতির মাধ্যমে আবারও জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ দেশের বিরোধী দলগুলোকে নির্মূল করে একদলীয় দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করতেই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ উদ্ভট, মনগড়া ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে বেপরোয়া গতিতে তাদের কারাগারে পুরে রাখার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মূলত শাসকগোষ্ঠী বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে বিএনপিকে নির্মূল করার জন্য এখন আরও বেশি মাত্রায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এবং সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছসহ কারাগারে প্রেরিত বেশকিছু নেতৃবৃন্দ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেই তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আমি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাই।

টিএস/এসএমএম