• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ০৪:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২০, ২০১৯, ০৪:৫৫ পিএম

অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের চেহলাম অনুষ্ঠিত

অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের চেহলাম অনুষ্ঠিত

নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের চেহলাম ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ জুলাই) অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের পৈত্রিক নিবাস চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার সীমান্তবর্তী বজরারটেক গ্রামে এ চেহলাম ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যাপক সংখ্যক মানুষ অংশ নেন। জোহরের নামাজের পর স্থানীয় মসজিদে লেখকের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিন অনেকেই মমতাজউদদীন আহমদের কবর জিয়ারত করেন।

চেহলামে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য সাংবাদিক, দৈনিক জাগরণ সম্পাদক ও প্রকাশক আবেদ খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, দৈনিক জাগরণের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী, প্রকাশক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।  

উল্লেখ্য, অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের গত ২ জুন রাজধানীর অ্যাপলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ভাষাসৈনিক মমতাজউদদীন আহমদ স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের পথিকৃত যিনি এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন। নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ১৯৯৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

কবর জিয়ারত করছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।

তিনি ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্গত মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশ বিভাগের পর তার পরিবার তদানিন্তন পূর্ববঙ্গে চলে আসে। তার পিতার নাম কলিমুদ্দিন আহমদ ও মাতার নাম সখিনা বেগম।

শিল্প ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তিনি জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন। তার মধ্যে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৬), একুশে পদক (১৯৯৭), নাট্যকলায় অবদানের জন্য ২০০৮ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও আলাউল সাহিত্য পুরস্কার অন্যতম।

জেডএইচ/এসজেড

আরও পড়ুন