• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০১৯, ০৭:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৩, ২০১৯, ০৭:১০ পিএম

প্রধানমন্ত্রী নিজেই মানবাধিকার বঞ্চিত ছিলেন : গণপূর্ত মন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী নিজেই মানবাধিকার বঞ্চিত ছিলেন : গণপূর্ত মন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম -ছবি : জাগরণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মানবাধিকার বঞ্চিত ছিলেন। তাই এর মর্মব্যাথা তার চেয়ে আর কে বেশি জানে। একসঙ্গে তিনি তার মা-বাবা, ভাই-ভাবীসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়েছেন এক নির্মম হত্যাযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে। তাই ক্ষমতায় আসার পর তিনি মানবাধিকার বিষয়ে সোচ্চার ভূমিকা রেখে কাজ করে যাচ্ছেন।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে মানবাধিকার খবর পত্রিকার সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।

এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, দৈনিক জাগরণ সম্পাদক ও প্রকাশক এবং প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) চেয়ারম্যান আবেদ খান, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউণ্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুর রহিম খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, পার্বত্য জেলা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, প্রখ্যাত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, কেন্দ্রীয় কর জরিপ অধিদফতরের করকমিশনার আছাদুজ্জামান, সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস আরাসহ আরও অনেকে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান এম কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, জামাত-বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশের মানুষদের পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়েছিল। সাধারণ মানুষ রাস্তায় চলতে ভয় পেতেন। এভাবেই তারা রাজনীতির নামে মানবাধিকার খর্ব করেছিল। রাজনীতির নামে তারা পেট্রোল বোমা মেরে পুরো দেশকে বার্ন ইউনিটে পরিণত করেছিল।

মন্ত্রী আরও বলেন, আন্দোলনের নামে, রাজনীতির বলিদান করে এভাবেই জামাত-বিএনপি সাধারণ মানুষের মানবাধিকার বারবার খর্ব করেছিল। সে জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে উত্তরণ ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীকে ক্ষমতায়ন করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে। কৃষকের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। সব দিক থেকেই এগিয়েছে বাংলাদেশ। ক্রমেই বাংলাদেশ একটি স্বর্গরাজ্যে পরিণত হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাগরণ সম্পাদক ও প্রকাশক আবেদ খান বলেন, আজ সংবাদের ধরন পাল্টেছে, পাল্টেছে অনেক কিছুই। ভাবতে অবাক লাগে-এই আধুনিক যুগে এসেও লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। তাই যে কোনো মূল্যেই হোক, আমাদের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। মানবাধিকার আমাদের বোধে, চেতনায় ধারণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য করেন মানবাধিকার খবর এর প্রকাশক ও সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন।

মানবাধিকার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন করেন উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, বাসন্তি চাকমা, জুয়েল আইচ, ফেরদৌস আরাসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। মানবাধিকার খবরের সাংবাদিকদের সংবাদ মূল্যায়ন করে তাদেরও পুরস্কার প্রদান করা হয়। শেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এসজে/এসএমএম