• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৫, ২০১৯, ০২:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৫, ২০১৯, ১১:৩৫ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ফণী

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে আ. লীগের কমিটি গঠন 

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে আ. লীগের কমিটি গঠন 
আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আমির হোসেন আমু -ছবি : জাগরণ

ঘূর্ণিঝড় ফণী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সোমবার (৬ মে) থেকে দলীয়ভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দলের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু।

রোববার (৫ মে) দুপুরের আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণবিতরণ কমিটির মিটিং শেষে সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, সোমবার সকাল থেকে ‘ফণী’ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দলীয় ত্রাণ কার্যক্রম এবং সরকারের ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবো। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য সহযোগিতা ও ত্রাণ বিতরণের জন্য ২টি কমিটি করা হয়েছে।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এর নেতৃত্বে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। এছাড়া বরগুনায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আমির হোসেন আমু বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশ যেভাবে আঘাত হানার কথা ছিল সেভাবে না হানায় আমরা কিছুটা স্বতিতে আছি। দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, সমস্ত জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একদিকে সরকারের পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ আর নেত্রী নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ায়।

তারপরও যেসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার ও দলের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা ও ত্রাণ বিতরাণ কার্যক্রমের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যতটুকু সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। মননীয় প্রধানমন্ত্রী কালকেও ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে দলের প্রবীণ এই নেতা ও সরকারের সাবেক মন্ত্রী বলেন, আজ যারা বড় বড় কথা বলে, তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। ১৯৯১ সালে তাদের অভিজ্ঞতা হলো কোন রকম প্রস্তুতি না থাকায় কারণে একদিকে ৫ লাখ  মানুষ নিহত। অন্যদিকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের অভিজ্ঞতা হলো নেত্রীর নির্দেশে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিগত দিনে মানুষকে বাঁচানোসহ ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রস্তুতি নিয়েছিল।

এ সময় সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম  বাহাউদ্দিন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক  সুজিত নন্দি রায়, আওয়ামী কেন্দীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল প্রমুখ। 

এএইচএস/একেএস