• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০১৯, ১২:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২১, ২০১৯, ১২:২২ পিএম

অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাবিতে আন্দোলনকারীদের তালা

অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাবিতে আন্দোলনকারীদের তালা
ঢাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা -ছবি : জাগরণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে কার্জন হল বাদে সকল অনুষদ এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২১ জুলাই) ভোরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, কলাভবন, বাণিজ্য শিক্ষা অনুষদ ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবন থেকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ হয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এবং তার আশেপাশের সড়ক অবোরুদ্ধ করে রেখেছে।

সকাল ৮টার দিকে কলাভবনের সামনে গিয়ে দেয়া যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস করতে আসলেও ৩ জন ছাত্রী ও ৩ জন ছাত্র মূল ভবনে তালা লাগিয়ে হাতে ফেস্টুন নিয়ে বসে আছে। এ সময় ক্লাস করাতে আসা শিক্ষকরা ৭ কলেজ সমস্যার সমাধান ধীরে ধীরে হবে আশ্বাস দিয়ে তালা খুলে দিতে আহ্বান জানালেও তারা আন্দোলন থেকে সরে আসেননি। 

আন্দোলনকারীরা জানান, অধিভুক্তি বাতিলের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত তালা খুলবে না। অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেয়। যার ফলে তাদের পরিচয় সঙ্কট পড়তে হয়। তারা জানান, তারা রেজিস্ট্রার বিল্ডিং, কলাভবন, এফবিএস ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে তালা ঝুলিয়েছেন। প্রশাসন দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত তারা তালা খুলবেন না।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে সকালে ক্লাস করতে এসে ফিরে গেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর আগে ৮টায় কর্মচারীরা তালা খুলতে এসেও আন্দোলনকারীদের বাধার সম্মুখীন হয়। ক্লাস করতে না পেরে অনেকেই কলা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন।

ঢাবির রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মাদ সামাদের গাড়ি আটকে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা -ছবি : জাগরণ 

এক পর্যায়ে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সময় রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মাদ সামাদের গাড়ি আটকে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

প্রো-উপাচার্য আন্দোলনকারীদের গেইট খুলে দিতে বললে শিক্ষার্থীরা অস্বীকৃতি জানায়। তখন তিনি শিক্ষার্থীদের তাদের দাবির বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানালে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না বলে জানায়। এক পর্যায়ে তিনি সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। 

বিভিন্ন অনুষদ এবং প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা ‘প্রসাশন করে কী, খায় দায় ঘুমায় নাকি’, ‘নির্লজ্জ প্রশাসন, ধিক্কার, ধিক্কার’, ‘ঢাবির সম্মান, নষ্ট হতে দেবো না’, ‘সাত কলেজ বাতিল চাই’, ‘রক্তে ঢাবির সম্মান, সাত কলেজ বেমানান’ ইত্যাতি  শ্লোগান দিতে থাকেন।


এমআইআর/একেএস

   
 

আরও পড়ুন