• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০১৯, ০৮:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৫, ২০১৯, ০৮:৫৪ পিএম

কলকাতার ডেপুটি মেয়রের পরামর্শ

এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস গুরুত্বপূর্ণ 

এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস গুরুত্বপূর্ণ 
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ - ছবি : জাগরণ

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কীটনাশক প্রয়োগের চেয়ে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের প্রতি গুরুত্ব দিলেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। আজ সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা পৌনে ৩টায় রাজধানীর গুলশানস্থ নগর ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে কলকাতা পৌরসভা থেকে তিনি এ পরামর্শ দেন। 

তিনি বলেন, কলকাতা পৌরসভা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকে ‘প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ -এই দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে। কলকাতা পৌরসভা ২০০৯ সাল থেকে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে তিন স্তর বিশিষ্ট মনিটরিং চালিয়ে যাচ্ছে। ওয়ার্ড, বরো ও হেড কোয়ার্টার পর্যায়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কলকাতায় সারা বছর ধরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মনিটরিং এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

অতীন ঘোষ জানান, ‘মশারে করো উৎসে বিনাশ’ এই স্লোগান নিয়ে বাসা-বাড়ি কিংবা উন্মুক্ত জলাশয় যেখানেই এডিস মশার প্রজননস্থল পাওয়া যায় তা ধ্বংস করা হয়। ঢাকার কোন কোন এলাকা ডেঙ্গুপ্রবণ তা চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনভিত্তিক কৌশলী হতে হবে। 

তিনি বলেন, কলকাতা পৌরসভা ৯ বছর যাবৎ অবকাঠামোভিত্তিক লড়াই চালিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। একইসঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। 

তিনি আরো জানান, কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ফগার মেশিনের সাহায্যে ধোঁয়া প্রয়োগ কার্যকরী হলেও এডিস মশা দমনে এর কার্যকারিতা কম। এডিস মশা দমনে উৎসে নির্মূল করা এবং জনসচেতনতা তৈরি করার বিকল্প নেই। কলকাতায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের লক্ষ্যে আইন পরিবর্ধন করে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ফলে মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন। 

অতীন ঘোষকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকের এই কনফারেন্স থেকে আমাদের অনেক ‘নলেজ শেয়ারিং’ হল। কলকাতার অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে পারব। কলকাতার সঙ্গে এ ধরনের ‘নলেজ শেয়ারিং’ প্রথম হলেও শেষ নয়। ভবিষ্যতে দুই শহরের যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।

ভিডিও কনফারেন্সে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো. খলিলুর রহমান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, কলকাতা পৌরসভার চিফ ভেক্টর কন্ট্রোল অফিসার ডা. দেবাশীষ বিশ্বাস, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুব্রত রায় চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক মুখ্য পরামর্শক ডা. তপন মুখার্জী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচ/ এফসি

আরও পড়ুন