• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০১৯, ০৭:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৮, ২০১৯, ০৭:২০ পিএম

‘আর অগণতান্ত্রিক সরকার তাদেরকে পুনর্বাসন করেছে’

‘আর অগণতান্ত্রিক সরকার তাদেরকে পুনর্বাসন করেছে’
বক্তব্য রাখছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম - ছবি : জাগরণ

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীলরা মিলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে। আর বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো পুনর্বাসন করেছে। জিয়াউর রহমান নিজে বঙ্গবন্ধু হত্যার উপকারভোগী এবং মদদদাতা। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে দেশের বাইরে পুনর্বাসন করেছেন। আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার না করে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ইনডেমনিটি অডিন্যান্সকে সংবিধানের অংশে পরিণত করেছেন। এরপর এরশাদ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সরাসরি রাজনীতিতে পুনর্বাসন ও প্রটেকশন দিয়েছেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদেরকে বিভিন্ন মিশনে চাকরী ও পদোন্নতি দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া একইরূপে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদেরকে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদেরকে ধ্বংস করতে সহায়তা করেছেন।

আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত জাতির পিতার জীবন, কর্ম ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) সাঈদ নূর আলম, মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। আরো বক্তব্য দেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির ও রাজউক কর্মচারী শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মালেক মিয়া। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়েরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা, বাঙালিত্বকে হত্যা করা, ৩০ লাখ শহীদের প্রত্যাশা ও স্বপ্নকে হত্যা করা। বাংলাদেশের সমস্ত উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দুটি বাধা। এর একটি হলো স্বাধীনতাবিরোধী, আরেকটি হলো প্রতিক্রিয়াশীল, যারা তত্ত্ব কথা বলেন সব সময়। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ না করলেও যে দলই করুন না কেন- মনে রাখবেন, আমাদের অস্তিত্বের উৎস মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ। যেখানে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য থাকবে না, যেখানে সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না। এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে আমরা পৌঁছেছি। এটাকে ধরে রাখতে সততার সঙ্গে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং খুনি ও প্রতিক্রিয়াশীলদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

টিএইচ/ এফসি

আরও পড়ুন