জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বঙ্গবন্ধুর সময় সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য আগামী বছর যে মুজিব বর্ষ পালিত হবে সেটি এনবিআর অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে পালন করবে। মুজিব বর্ষে রেভিনিউ কালেকশন আগের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, সেই রেকর্ড বঙ্গবন্ধুর নামে আমরা উৎসর্গ করব।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর আইডিইবি ভবনে বিসিএস (ট্যাক্সেশন) ও বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বছর যে মুজিব বর্ষ পালিত হবে সেটি এনবিআরের পক্ষ থেকে অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে পালনের প্রস্তুতি নিয়েছি। বিসিএস ট্যাক্স ও বিসিএস কাস্টমস একাডেমিতে নিয়মিত যে প্রশিক্ষণ কোর্স চলে সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর যারা গবেষণা করেছেন এবং যাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে তাদেরকে রিসোর্স পারসন এনে বক্তৃতা করানো হবে। রচনা প্রতিযোগিতা ও নিয়মিত আলোচনা হবে। এছাড়া আমাদের কর্মের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করব। 

তিনি আরও বলেন, যেহেতু এনবিআর বঙ্গবন্ধুর সময় সৃষ্টি হয়েছিল, সেজন্য মুজিব বর্ষে রেভিনিউ আমাদের পূর্বের যত রেকর্ড আছে সব ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশা করি। সেই রেকর্ড আমরা বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করব। এর মাধ্যমে সবাই যেন বুঝতে পারে আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কাজ করছি।

বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে তিনি বলেন, শূন্যতা পূরণ হয়েছে কিন্তু সেই শূন্যতা অনেকটা হাহাকারের রূপে দীর্ঘদিন আমাদের মধ্যে ছিল। বাংলাদেশ যতদিন টিকে থাকবে ততদিন এদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে। সরকারে আমরা যারা কাজ করি তাদের উচিত রাজস্ব বাস্তবায়ন, তার নির্দেশ মতো চলা, জনগণের সেবা করা। 

কর বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর পরামর্শ উদ্ধৃত করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, যাদের ট্যাক্সের পয়সায় আমাদের বেতন হয়, তাদের প্রতি আমরা যেন কোনো অন্যায় না করি। সেই বিষয়গুলো মনে রেখে চললেই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হবে।

শেখ হাসিনা তার পিতাকেও ছাড়িয়ে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে চারবার ক্ষমতায় এসেছেন। এর মধ্যে দেশ শাসন, দেশের উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, সকল ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতি এবং দেশের সুশাসনের জন্য তিনি যে অবদান রেখে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য কাজ করছেন। বঙ্গবন্ধুর যে ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-চেতনা ছিল সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আছেন এবং সেগুলো করে যাচ্ছেন। বলতে হয়- তিনি তার পিতাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। মেয়ে (প্রধানমন্ত্রী) যে তাকে (বঙ্গবন্ধু) তার পিতা ছাড়িয়ে গেছে বেঁচে থাকলে তিনি হিংসা করতেন না। বরং আনন্দিত হতেন। সকল পিতাই তাই করেন। দেশের উন্নয়নের জন্য কখন, কোথায় কোন কাজ করতে হবে সব তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বুঝেন।

সভায় বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম আফজালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনবিআর সদস্য (গ্রেড-১) কালিপদ হালদার ও সুলতান মো. ইকবাল। আরো বক্তব্য রাখেন এনবিআর সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরীয়া, বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. নুরুজ্জামান, বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ মুশফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এআই/ এফসি