বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সম্পর্কে জানতে হলে তাকে নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে শনিবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওই সভায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা বই ‘কারাগারের রোজনামচা’ বের করা হয়েছে। তার আদর্শ সম্পর্কে জানতে হলে তার লেখা বইগুলো পড়তে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গোয়েন্দা নথির বই বের করেছি। আরও একটা নতুন খণ্ড বের করার কাজ চলছে। আমি ২০টা বছর এই রিপোর্টগুলো নিয়ে কাজ করেছি। আমার সঙ্গে কাজ করেছে আমার বান্ধবী বেবী মওদুদ। কিন্তু দুঃখের বিষয় বেবী মওদুদ আমাদের মাঝে আর নেই। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই রিপোর্টগুলো তৈরি করা। এই রিপোর্টগুলো তার বিরুদ্ধে। এগুলো পড়লেই বোঝা যাবে দেশের মানুষ ও দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু কীভাবে কাজ করে গেছেন। এই রিপোর্টগুলো পড়লে তার সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো নেতার বিরুদ্ধে লেখা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। আমি যখন রিপোর্টটা সংগ্রহ করি প্রায় ৪০ হাজারের ওপরে পাতা। এর ভেতর যে তথ্যগুলো সেখান থেকে শেখ মুজিব সম্পর্কে জানা যাবে তিনি কীভাবে দেশের জন্য কাজ করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটি বই ছাপাতে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু ১৯৫২ সালে চীনে গিয়েছিলেন। সেখানে তখন একটা শান্তি সম্মেলন হয়েছিল। পুরো পাকিস্তান থেকে একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিল। সেখানে তিনি ভ্রমণ করে নিজের অভিজ্ঞতা লিখেছিলেন। কীভাবে তারা রেভুলেশন করেছে, সেখানকার মানুষের দুরবস্থা, তাদের জীবনযাত্রাকে গভীরভাবে উপলব্ধি করেছেন। তাদের দেখেছেন, তাদের নিয়ে লিখেছেন।’

ছাত্রলীগের ইতিহাস তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের প্রতিটি সংগ্রামে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা রয়েছে। প্রতিটি ইতিহাসে ছাত্রলীগের নাম রয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামে অনেক ছাত্রলীগ নেতা আত্মাহুতি দিয়েছেন।’ 

সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। সভায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এএইচএস/ এফসি