• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮, ০৮:৪৩ এএম

মানবাধিকার কতটা বাস্তবায়িত, তা দেখার সময় এসেছে : প্রধান বিচারপতি

মানবাধিকার কতটা বাস্তবায়িত, তা দেখার সময় এসেছে : প্রধান বিচারপতি

 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্র মানবাধিকার সনদে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে এই মানবাধিকার কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, তা দেখার সময় এসেছে। বিশ্ব-জনগোষ্ঠী মানবাধিকার আন্দোলনকে আবিষ্কার করেছে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার শক্তি ও সাহসের আলোকবর্তিকা হিসেবে।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধানে আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করার জন্য রাষ্ট্রের এই ৩টি অঙ্গের সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অপরিসীম। আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়েছে। আমাদের সংবিধানের দ্বিতীয়ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির কথা বলা হয়েছে, যা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের বিষয়বস্তু।

প্রধান বিচারপতি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে মানবকুলকে রক্ষা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। মৌলিক মানবাধিকার, মানুষের মর্যাদা ও জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমানাধিকার বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয়।

মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা মওসুস-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আইন, মানবাধিকার ও ভোটাধিকারবিষয়ক এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া। এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।

মা আ/ সাইসে