• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৩:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৩:৩৪ পিএম

নেতাকর্মীদের ফুলেল শ্রদ্ধায় বিদায় নিলেন খোকা

নেতাকর্মীদের ফুলেল শ্রদ্ধায় বিদায় নিলেন খোকা
নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে খোকার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা- ছবি: কাশেম হারুন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা ও অশ্রুসজল ভালবাসায় দলীয় নেতাকর্মীরা বিদায় দিলেন ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকাকে। 

নিউইয়র্ক থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ দেশে আসার প্রথমে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। পরে সেখান থেকে মরদেহ নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরআগে দলের ভাইস চেয়ারম্যানের মরদেহে দলীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে বিএনপির ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা জানান।

বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) বাদ যোহর রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে  জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

জানাজায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মো. শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা শেষে খোকার কফিনে শ্রদ্ধা- ছবি: কাশেম হারুন 

জানাজার নামাজের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সাদেক হোসেন খোকা যে সময় মারা গেলেন তখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে। খোকাকে শেষ দেখা তিনি দেখতে পেলেন না। আর আমরা খোকার এই অকালে চলে যাওয়ার দুঃখ প্রকাশ করছি।

ফখরুল বলেন, সাদেক হোসেন খোকা চলে যাওয়ায় বিএনপিতে শুন্যতা সৃষ্টি হলো তা পূরণ হওয়ার নয়।

বিকেল ৩টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে খোকার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ মরহুমের নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর বাদ আছর মরহুমের বাসভবন থেকে ধুপখোলা মাঠে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে জুরাইন কবরস্থানের বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন হবে। 

সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, তোফায়েল আহম্মেদ,  আসম ফিরোজ, মেজর অব.  আবদুল মান্নান,  বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী,  রাশেদ খান মেনন,  মশিউর রহমান রাঙা, ড.  মাহবুব উল্লাহ, মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, শামসুল হক টুকু, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।  

নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাকর্মীরা- ছবি: কাশেম হারুন 

বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান,  ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান,  মেজর অব.  হাফিজ উদ্দিন আহমেদ,  বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান সিনহা,  জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূইয়া, হারুন অর রশিদ, উকিল আব্দুস সাত্তার,  জাহিদুর রহমান, এম মোরশেদ খান, মেজর অব. আখতারুজ্জামান, নাজিম উদ্দিন আলম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রুহুল আলম চৌধুরী,এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ। 

ক্যান্সারে আক্রান্ত খোকা গত সোমবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। রাতেই কুইন্সের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালের ১৪ মে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দেশে কয়েকটি দুর্নীতি মামলা হয় এবং কয়েকটিতে সাজাও দেন আদালত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্সের একটি বাসায় থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সপ্তাহ তিনেক আগে মুখে ঘা দেখা দিলে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

সাদেক হোসেন খোকা ১৯৫২ সালের ১২ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ এবং সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাবেক মেয়র ছিলেন। সাদেক হোসেন খোকা ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।         

টিএস/বিএস 
 

আরও পড়ুন