• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০১৮, ০৮:৩৩ পিএম

৩ দিনের ব্যবধানে বুধবার ফের একনেক সভা

৩ দিনের ব্যবধানে বুধবার ফের একনেক সভা
ফাইল ছবি

 

বুধবার ( ৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভা। এ নিয়ে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে পরপর দুটি একনেক সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি বুধবারের সভাটি গত ১৫ দিনের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চতুর্থ সভা। সর্বশেষ একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো গত ৪ নভেম্বর (রোববার)। সাধারণত ৭ দিনের ব্যবধানে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বুধবার বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে এনএসই সম্মেলন কক্ষে সভাটি ডাকা হয়েছে।

এর আগে ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া একনেক সভাকে বর্তমান সরকারের মেয়াদের সর্বশেষ সভা বলে ধারণা করা হচ্ছিলো।

তবে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দৈনিক জাগরণকে বলেন, প্রয়োজন হলে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত একনেক  সভা হবে। তবে এক্ষেত্রে আইন মানা হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ দৈনিক জাগরণকে বলেন, একনেকে পাস হলেই হবে না, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে এত প্রকল্প পাস হওয়ায় প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। 

জানা গেছে, গত তিনটি একনেক সভায় মোট ৮৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই তিন সভায় প্রকল্পগুলোর মোট প্রাক্কলন ব্যয় দাঁড়ায় এক লাখ ৩৮ হাজার ৯৭৪ কোটি ১২ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বর্তমান সরকারের ১৫০তম এবং চলতি অর্থবছরের ১৩তম সভা। ওইদিন ৩৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয় ৮৬ হাজার ৬৮৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ওইদিন অনুমোদন হওয়া প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতাধীন জয়দেবপুর হতে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প (ব্যয় ধরা হয় ১৪ হাজার ২৫০ কোটি ৬১ লাখ টাকা); পূর্বাচল লিংক রোডের উভয়পাশে (কুড়িল হতে বোয়ালিয়া পর্যন্ত) ১০০ ফুট পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্প (১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা); পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য টার্মিনাল নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি সম্প্রসারণ (৩ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা); কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ (৯ হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা); ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ (৯৭৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা); পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ (৩৫৪ কোটি টাকা); পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ (১১৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা) এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ (৩ হাজার ৭০৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

গত ৩০ অক্টোবর হওয়া একনেক বৈঠকে অনুমোদিত ২৫টি প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৩২ হাজার ৫০৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের কোষাগার, প্রকল্প সাহায্য ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে অর্থায়নের পরিমাণ ধরা হয়েছে যথাক্রমে ২৭ হাজার ১২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, ৫ হাজার ৭২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ও ৩০৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।  

এর আগে ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সরকারের ১৪৮তম সভায় ২১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলোর সর্বমোট প্রাক্কলন ব্যয় ১৯ হাজার ৭৭৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ওইদিন পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয় ৩৫টি ড্রেজার ও সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে। যার ব্যয় ধরা হয় ৪ হাজার ৪৮৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুন নাগাদ বাস্তবায়নের সময় প্রক্ষেপণ করা হয়েছে।

কেএ/আরআই/এমটিআই