• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০১৯, ১১:১৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২২, ২০১৯, ০১:৪৬ পিএম

বনানীতে দাফন

স্যার ফজলে হাসান আবেদের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

স্যার ফজলে হাসান আবেদের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি - ছবি : টিভি থেকে নেয়া

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে রোববার (২২ডিসেম্বর) শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব। প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মেজর আশিকুর রহমান। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার উপ সামরিক সচিব কর্নেল মো সাইফুল্লাহ। এরপর একে এক শ্রদ্ধা জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। 

রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে প্রথমেই শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ মাহবুব উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

শ্রদ্ধা জানানোর আগে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ একজন জনদরদী অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তার শূন্যতা কোনোদিন পূরণ হবে না। তার তুলনা তিনি নিজে। এদেশে অনেক এনজিও কার্যক্রম আছে। ফজলে হাসান আবেদ ছিলেন একেবারে প্রচারবিমুখ। নীরবে, নিঃশর্তভাবে তিনি বাংলার তৃণমূল পর্যন্ত তার কার্যক্রম ছড়িয়ে দিয়েছেন। দেশব্যাপী ব্র্যাকের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত হয়েছে। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও ব্র্যাকের কার্যক্রম বিস্তৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের তৃণমূলের মানুষের জন্য তার অসামান্য অবদান রয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমেও ক্ষুদ্র ঋণে অবদান আছে তার। তিনি চলে গেলেও তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারসহ বিশিষ্টজনেরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে স্যার ফজলে হাসান আবেদের জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর দাফনের জন্য মরদেহ নেয়া হয় বনানী কবরস্থানে। বেলা ১টা ৪০ মিনিটে কবরস্থানের ‘এ’ ব্লকের ১৫ নম্বর লেনে তার স্ত্রী আয়শা হাসান আবেদের কবরে তাকে চিরশায়িত করা হয়।

স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্মরণে বেলা ২টা থেকে মহাখালীতে ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয় ব্র্যাক সেন্টারে শোকবই খোলা হবে। এ ছাড়া আড়ং, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কাল সোমবার এবং সারা দেশে ব্র্যাকের আঞ্চলিক অফিসগুলোয় আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শোকবই খোলা থাকবে। শোকবই থাকবে ৩০ জানুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

ফজলে হাসান আবেদ গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ওই অঞ্চলের জমিদার। তিনি পাবনা জেলা স্কুল থেকে ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৪ সালে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ও পরে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।  

একেএস/ এফসি