• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২১, ১১:৫২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১, ২০২১, ০১:০১ পিএম

‘বীমায় গ্রাহকের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে’

‘বীমায় গ্রাহকের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীমা হলো সেবা দেওয়া। গ্রাহকের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। 

সোমবার (১ মার্চ) জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

সোমবার (১ মার্চ) জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বীমা মূলত একটা সেবামূলক পেশা। বীমা সেবাকে জনপ্রিয় করাসহ এটাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। গ্রাহকের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বীমা কোম্পানিগুলোকে সেবা প্রদান করতে হবে।”

বীমার বিষয়ে মানুষকে আরো সচেতন করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “বীমা থাকলে দুঃসময়ে যে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়, এ ব্যাপারে মানুষকে আরো সচেতন করা দরকার। কারণ মানুষকে যদি উদ্বুদ্ধ করা যায়, তাহলে প্রত্যেকটা মানুষ বীমা করবে। এ ব্যাপারে আরো ব্যাপক প্রচার একান্তভাবে করা দরকার বলে আমি মনে করি।”

শেখ হাসিনা আরো বলেন, “আমরা চাই বীমা সম্পর্কে মানুষ আরো আস্থাশীল হোক। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে তাদের গৃহীত উদ্যোগ আরো কার্যকর করা দরকার যাতে বীমার পরিধি বৃদ্ধি পায় এবং এটা যাতে মানুষের সহশক্তি হিসেবে কাজ করে।”

তবে বীমার অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক  থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বীমার সঙ্গে সম্পৃক্তদের একটি বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। আমাদের দেশের মানুষের কিছু অভ্যাস আছে। তারা ব্যবসা করতে গিয়ে বীমা করেন। তারপর ব্যবসায় কোনো ক্ষতি না হওয়ার পরও কৃত্রিমভাবে কিছু ক্ষতি করে বা কোথাও একটু আগুন লাগিয়ে বীমা প্রিমিয়াম থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চায়। কিন্তু অনেক সময় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, যে পরিমাণ অর্থ তারা দাবি করছেন, আসলে সেই পরিমাণ ক্ষতি তাদের হয়নি।”

এ বিষয়ে পরীক্ষকদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে সরকার প্রধান আরো বলেন, “যারা ক্ষতির পরিমাণ পরীক্ষা করতে যাবেন, তাদেরকেও ভালোভাবে শিক্ষা দিতে হবে। তারা যেনো আবার কোনোভাবে অল্প ক্ষতিকে বড় ক্ষতি হিসেবে না দেখায়। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। গ্রাহকরা বীমার প্রিমিয়ামটা যেনো সঠিকভাবে দেন এবং বীমার টাকাও যেনো ঠিকভাবে পান, দুটি বিষয়েই যত্নবান হওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন।”

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা, বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা, বঙ্গবন্ধু স্পোর্টস অ্যান্ড কম্প্রিহ্যানসিভ ইন্সুরেন্স নামে তিনটি বীমা প্রচলন করেছে। অভিভাবকদের অকাল মৃত্যুতে বা শারীরিক অক্ষমতার কারণে কোনো শিক্ষার্থী যেনো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই নিশ্চয়তা দেবে এই বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা। এটা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন। এর আওতায় বার্ষিক ৮৫ টাকা দিয়ে তিন থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা এ পলিসি গ্রহণ করতে পারবে। কাজেই আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য খুবই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে পড়াশুনার জন্য আর কারো অর্থের অভাব হবে না।”

শেখ হাসিনা আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা এর মাধ্যমে আমরা মাত্র ১০০ টাকা প্রিমিয়াম প্রদান করে দুই লাখ টাকার এক্সিডেন্টাল হেলথ কাভারেজ পাওয়া যাবে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু স্পোর্টস অ্যান্ড কম্প্রিহ্যানসিভ ইন্সুরেন্স করে বার্ষিক ২৮৫ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে একজন খেলোয়াড় জীবনের স্বাধীন-সৌখিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।”

এ সময় টিকা নেওয়ার পরও সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।