‘আন্তর্জাতিক উগ্রপন্থিদের দেশীয় অনুসারীরা’ হেফাজত ইসলামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মো. মিছবাহুর রহমান চৌধুরী।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “হেফাজত ইসলামের আমির আহমদ শফীর মৃত্যুর পর সংগঠনটির নেতৃত্ব ‘আন্তর্জাতিক উগ্রপন্থিদের অনুসারী, ক্ষমতালোভী একদল আলেম নামধারী কুচক্রীদের’ হাতে চলে যায়। সে লোকগুলোর সঙ্গে জামায়াত-শিবির ও তাদের মিত্রদের গোপন শলাপরামর্শের মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসাকে কুক্ষিগত করে তাদের সামনে হেফাজতের ব্যানারে জ্বালাও, পোড়াও, লুটপাট, হত্যা, নৈরাজ্য করে দেশের গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে সরকার পতনের লক্ষ্যে দেশ ও বিদেশি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছিল।”
নতুন কমিটি গঠনের ছয় মাস না যেতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকেন্দ্রিক বিক্ষোভ থেকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা সারা দেশে তাণ্ডব চালায়। বিক্ষোভ ও হরতালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামে সহিংসতায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়।
ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছিলাম, আলেম নামধারী জামায়াত ও হেফাজতি একদল লোক হেলিকপ্টার নিয়ে সারা দেশে ওয়াজ ও তাফসির মাহফিলে নামে মিথ্যাচার করেছে। কোরআন শরীফের অপব্যাখ্যা দিয়ে যুব সমাজকে জেহাদের কথা বলে উগ্রতার দিকে ধাবিত করছে।”
সংবাদ সম্মেলনে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে পূর্বসূরিদের ঐতিহ্য অনুযায়ী পরিচালনার লক্ষ্যে ‘আল-হাইয়াতুল উলাইয়া লিল জামিয়াতিল ক্বাওমিয়্যাহ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ঘোষিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার দাবি জানান মিছবাহুর রহমান।
কয়েকটি কওমি মাদ্রাসায় সাম্প্রতিক সময়ে ‘উগ্র সহিংস কার্যক্রম’ পরিচালনাকারী ছাত্রদের বহিষ্কারের পাশাপাশি সাম্প্রতিক তাণ্ডবে নেতৃত্বদানকারী হেফাজতে ইসলামের ‘বিদেশি অর্থ সংগ্রহকারী যোগানদাতাদের’ বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান।